গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন বছর বাইশের এক যুবক। সব মিলিয়ে আতঙ্কে ভুগছে নদিয়ার হরিণঘাটার মোল্লাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। এলাকাবাসী ভয় দূর করতে বৃহস্পতিবার প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা এলাকা পরিদর্শনে যান। স্থানীয় পানপুর হাই স্কুলে তিন দিনের জন্য বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির।
কল্যাণীর মহকুমা শাসক শৈবাল চক্রবর্তী বলেন, “জ্বর নিয়ে অযথা আতঙ্ক দূর করতে প্রশাসনের তরফ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য প্রচারও চালানো হচ্ছে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন চারেক আগে থেকে মোল্লাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বসন্তপুর, হাজরা বেলিয়া এলাকার অনেকেরই জ্বর হতে শুরু করে। মঙ্গলবার হাজরা বেরিয়া গ্রামের বছর বাইশের যুবক হৃদয় দেবনাথের মেডিক্যাল কলেজে জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকে আতঙ্ক আরও বাড়তে থাকে।
মোল্লাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নাসিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, “জ্বর নিয়ে মানুষের আতঙ্ক দূর করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মশা মারার ওষুধও স্প্রে করা হচ্ছে। অনেকের জ্বর না হলেও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।”
এ দিন সকালে আক্রান্ত গ্রাম গুলিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কল্যাণীর মহকুমা শাসক শৈবাল চক্রবর্তী, হরিণঘাটার বিডিও সুজয় সাধু, কল্যাণীর অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা চঞ্চল দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।
নিরুপমবাবু বলেন, “কমপক্ষে ১৫০ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। জনা দশেক আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এটা ভাইরাস ঘটিত জ্বর। আতঙ্কের কারণ নেই। মৃত যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।” |