শহর সুরক্ষায় বসছে ক্যামেরা
হরের নিরাপত্তার স্বার্থে পুজোর আগেই শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পাঁচটি জায়গায় অন্তত ১১টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ির সেবক মোড়, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, দুই মাইলে একটি শপিং মলের সামনে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন লাগোয়া এলাকা এবং হিলকার্ট রোডে একটি ব্যাঙ্ক লাগোয়া বাস-স্টপের কাছে ওই ক্যামেরাগুলি বসানো হচ্ছে। আগামী ১৫ অক্টোবর মহালয়ার দিন থেকেই সেগুলি চালু করা হবে। পুলিশের হাতেই সেগুলির দায়িত্ব থাকবে। পরবর্তীতে আরও ১৭টি জায়গায় অন্তত ৪৫টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে।
রুদ্রবাবু বলেন, “এসজেডিএ ৭ কোটি টাকা খরচে ‘হাই সিকিউরিটি সার্ভেল্যান্স ক্যামেরা’-গুলি বসানোর বন্দোবস্ত করছে। পুলিশের হাতেই তা তুলে দেওয়া হবে। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে, অপরাধমূলক কাজকর্ম বন্ধে নজরদারি চালাতে, দুষ্কৃতীদের ধরতে তা ব্যবহার করবে।” তিনি জানান, পরবর্তীতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিকের গতি, পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টাই ইলেক্ট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ডের সাহায্যে তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে বাগডোগরা বিমানবন্দর, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন, বাস টার্মিনাসের মতো বিভিন্ন জায়গায় তা থাকবে। মালবাজার, ময়নাগুড়ি এবং বাগডোগরা এলাকাকে এসজেডিএ’র আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই তিনটি এলাকায় শবদাহের জন্য ৩ টি বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৩৫ কোটি টাকা খরচে ওই কাজ হবে। শিলিগুড়ি এবং মালবাজারে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ’র উদ্যোগে আরও বেশ কিছু প্রকল্প গড়ে তোলার কথা এ দিন জানিয়েছেন রুদ্রবাবু। তার মধ্যে, ময়নাগুড়িতে কৃষিজ পণ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং তা প্রশিক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ময়নাগুড়ির ১৪ টি মৌজাকে নিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা খরচে এই প্রকল্প গড়ে তোলার কথা জানানো হয়েছে। টম্যাটো পাউডার এবং অন্যান্য সামগ্রী প্রস্তুত করা হবে। কৃষিভিত্তিক ‘লজিস্টিক পার্ক, বাঁশ থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরির শিল্প পরিকাঠামো, আনারস প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট এবং একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে একটি ফার্মা বায়োটেক পার্ক তৈরির কথাও ভাবা হয়েছে। এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের বন এবং পরিবেশ দফতরের আর্থিক সহায়তায় ৫৫ কোটি টাকা খরচে মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে ২ এবং ৩ নম্বর ‘সিউয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ (এসটিপি) গড়ে তোলা হচ্ছে। ওই কাজ শেষ পর্বে। আগামী ২ মাসের মধ্যে তা চালু করে দেওয়া হবে। দু’টি অতিকায় পুকুরে শহরের নিকাশি নালার জল শোধন করে নদীতে ফেলা হবে। তাকে কেন্দ্র করে নৌকাঘাট এলাকায় পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করে চতুর্থ মহানন্দা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে রামঘাট এলাকায় পঞ্চম মহানন্দা সেতু এবং বুড়ি বালাসনের উপর সেতু তৈরির কাজও সম্পূর্ণ করা হবে। শিলিগুড়ির ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরেশনগর কলোনি এলাকায় একটি অপ্রশস্ত সেতু রয়েছে। সেখানে একটি উপযুক্ত সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ময়নাগুড়ির বেঙকান্দি এলাকায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ১১ টি বাড়ি পুড়ে গিয়েছিল। গরিব পরিবারের বাসিন্দাদের ওই বাড়িগুলি এসজেডিএ’র উদ্যোগে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সেগুলি বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.