|
|
|
|
ঝাড়গ্রাম কলেজে নির্বাচনে স্থগিতাদেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন আপাতত স্থগিত করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার জানিয়েছে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও বিচারপতি অসীম মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গণতান্ত্রিক ও অবাধ ভাবে এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগোচ্ছিল না বলেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসককে স্পেশাল অফিসার করে তাঁকেই এই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পুজোর ছুটির পরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কলেজের অধ্যক্ষ ও মহকুমাশাসক আলোচনা করে নির্বাচনের দিন স্থির করবেন। আগামী ১৩ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
জঙ্গলমহলে অশান্তির জেরে ২০০৭ সালের পর থেকে এই কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এ বার নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত এক বৈঠকও ডাকা হয়। কিন্তু সে দিনই ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষ কিশোরকুমার রাঢ়ীকে টিএমসিপি’র জেলা নেতা সৌমেন আচার্য চড় মারেন বলে অভিযোগ। জখম অধ্যক্ষকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে বৈঠক করতেও বাধ্য করে টিএমসিপি। শুধুমাত্র টিএমসিপি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে স্থির হয়, ১৩ অক্টোবর ভোট হবে। ইতিমধ্যেই ২৮টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছে টিএমসিপি।
গত বছর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে কলেজ নির্বাচন পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ দিন ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের মামলার প্রেক্ষিতে অবশ্য ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ১৯৫১ সালের ‘রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপল অ্যাক্ট’ অনুযায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে যে এক্তিয়ার দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কলেজ নির্বাচন পড়ে না। ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, কলেজ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবাধ ব্যবস্থা রাখতে হবে। কলেজের ভেতর বা বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানার, পোস্টার লাগানো যাবে না। কলেজের মধ্যে বা এলাকায় মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিজয় মিছিলও। |
|
|
|
|
|