|
|
|
|
শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে বলল হাইকোর্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও মেদিনীপুর |
‘সন্ত্রস্ত’ কেশপুরে প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুলে ঢুকতে বাধা পাচ্ছেন এই অভিযোগে স্থানীয় কিছু শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ঘোষপুর নেহরু স্কুলের শিক্ষক শেখ আসগর আলি-সহ কয়েক জন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কেশপুর থানা ও জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেন, ওই শিক্ষকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “কেউ এ রকম বাধা পেলে অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।”
শিক্ষকদের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, দীর্ঘ দেড় বছর ওই শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারছেন না। বেতন পাচ্ছেন না। স্কুল পরিদর্শক, স্কুল শিক্ষা অধিকর্তা, স্থানীয় থানা ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বিচারপতি জানিয়ে দেন, বেতনের বিষয়টিতে তিনি কোনও নির্দেশ দিতে পারেন না। তবে ওই শিক্ষকেরা যাতে অবাধে স্কুলে গিয়ে কাজ করতে পারেন পুলিশ-প্রশাসনকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই একদা ‘লালদুর্গ’ কেশপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, জুলুমের অভিযোগের পাশাপাশি তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষও চলছে পাল্লা দিয়ে। একের পর এক ব্লক সভাপতি পাল্টেও পরিস্থিতি সামলাতে পারছেন না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কেশপুরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে এ দিনই জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তকে স্মারকলিপি দিয়েছে সিপিএম। স্থানীয় বিধায়ক রামেশ্বর দোলই, প্রাক্তন বিধায়ক নন্দরানি ডলের অভিযোগ, কেশপুরে সিপিএম কর্মীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পার্টি অফিস খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। বিধায়কের বক্তব্য, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের বুথ এজেন্টদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনের কাজেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের অবশ্য দাবি, “যাঁরা এলাকায় ঢুকতে পারছেন না, তাঁদের অনেকের নামেই মামলা রয়েছে। আসলে এ ভাবে লোক ঢুকিয়ে এলাকা দখলের কৌশল নিয়েছে সিপিএম।” |
|
|
|
|
|