|
|
|
|
উদ্ধার ২৭টি রাইফেল
গ্রেফতার সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলার নানা প্রান্তে যে এখনও ‘অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র’ রয়েছে, ফের তার প্রমাণ মিলল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরে শালবনি থানার গাড়রা থেকে এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত জগদীশ মাহাতোকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয় একটি খালপাড়ের পাশে মাটি খুঁড়ে একসঙ্গে ২৭টি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। রাইফেলগুলি পলিথিনে মুড়ে মাটির পুঁতে রাখা হয়েছিল।
এক সময় জঙ্গলমহলে ‘সশস্ত্র শিবির’ তৈরির অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। পালাবদলের পর অভিযোগের ‘প্রমাণ’ মিলতে শুরু করে। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়। |
|
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
মেদিনীপুরের কনকাবতী, গড়বেতার মতো এলাকায় অস্ত্র-ভাণ্ডারের খোঁজও মেলে। এ দিন অস্ত্র উদ্ধারের পরে পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “ধৃত যুবকই জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকায় যে সশস্ত্র ক্যাম্প ছিল, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলি সেই ক্যাম্পেরই।” ওই সশস্ত্র ক্যাম্প কী সিপিএমই তৈরি করেছিল? প্রশ্নের সদুত্তর এড়িয়ে পুলিশ সুপারের জবাব, “তদন্ত চলছে। এ নিয়ে এখনই কিছু বলছি না। তবে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানা গিয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়ার অস্ত্রগুলির মধ্যে কিছু দেশি। যেগুলি স্থানীয় ভাবেই তৈরি। কিছু ফ্যাক্টরিতে তৈরি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “ওই এলাকায় মাওবাদীদেরই উপদ্রব ছিল। তাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নাম জড়ানো হচ্ছে।” বিধায়ক তথা যুব-তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতোর অবশ্য বক্তব্য, “এক সময় বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র শিবির তৈরি করে সিপিএম। গাড়রাতেও শিবির ছিল। বৃহস্পতিবার যে যুবককে পুলিশ ধরেছে, সে-ও ওই শিবিরের কর্মী ছিল।” ধৃতকে আজ, শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হবে। |
|
|
|
|
|