নিজস্ব সংবাদদাতা • ডানকুনি |
শ্রমিক আন্দোলনের চাপে স্থানীয় ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমেই বন্ধ ডানকুনি ও পালসিট টোলপ্লাজায় নতুন করে টোল আদায় চালু করতে চলেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই)। বৃহস্পতিবারই দুই টোলপ্লাজায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দেয় তারা।
এ দিন মহাকরণে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এনএইচএআই-এর তরফে দুর্গাপুরের প্রকল্প আধিকারিক কৃষ্ণ মুরারি তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। ওই দুই টোলপ্লাজা বন্ধের জন্য রাজস্ব আদায়ে কতটা ক্ষতি হয়েছে, টোল দু’টির পাহারার দায়িত্ব কে নেবে এবং কত দিনের মধ্যে নতুন সংস্থার মাধ্যমে টোল আদায় চালু হবে, সে ব্যাপারে এনএইচএআই-এর কাছে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য সরকার। ঘটনা হল, আইনমন্ত্রী নিজেই পালসিট টোলপ্লাজার তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি। পরে তিনি বলেন, “স্থানীয় ঠিকাদার সংস্থাকে টোল আদায়ের বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএইচএআই।”
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গত রবিবার থেকে ওই দুই টোলপ্লাজায় টোল আদায় বন্ধ করে দেয় এনএইচএআই। অন্য একটি বড় সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে পুজোর মুখে সমস্যায় পড়েন দুই টোলপ্লাজায় কর্মরত ৩১০ জন শ্রমিক। দু’টি টোলপ্লাজাতেই শুরু হয় শ্রমিকদের অবস্থান-বিক্ষোভ। টোল আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজস্বে ঘাটতির অভিযোগ তোলে রাজ্যও।
কৃষ্ণ মুরারি বলেন, “আগের সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতেই ওই দুই টোলপ্লাজায় টোল নেওয়া বন্ধ করা হয়। শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কোনও ঠিকাদার সংস্থাকেই ওই কাজে নিয়োগ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” কেন তাঁরা অন্য সংস্থাকে টোলের দায়িত্ব দিলেন না, সে প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। যদিও ওই দুই টোলপ্লাজায় শ্রমিক আন্দোলনের চাপেই এই সিদ্ধান্ত বলে এনএইচএআই সূত্রের খবর। |