|
|
|
|
কাছাড়ে ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে অচলাবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
৪৭ জন প্রার্থীর ৪৬ জনেরই মনোনয়ন পত্র বাতিল! ছাত্র সংসদ নির্বাচনের এই ঘটনাকে ঘিরে গত সাত দিন ধরে পড়াশোনা লাটে উঠেছে কাছাড় কলেজে। ডান-বাম কারও মনোনয়ন পত্র টেকেনি বলে এনএসইউআই-এবিভিপি এখন একজোট। কেউ কুশপুতুল পোড়াচ্ছে, কেউ বা গেটে ঝোলাচ্ছে তালা।
অধ্যক্ষ দেবাশিস কর জানিয়েছেন, লিংডো কমিশনের সুপারিশের অংশবিশেষ নিয়ে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিধি প্রণয়ন করেছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের কলেজে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে কথা ভর্তির সময়েই প্রসপেক্টাসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।
ছাত্র সংসদের ১৭টি পদের জন্য মোট ৪৭ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল। সঙ্গীত-নাটক বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী রেশমি সিংহ ছাড়া কারও ৭৫% উপস্থিতি নেই। ফলে কর্তৃপক্ষ রেশমিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী বলে ঘোষণা করে বাকিদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন। এতে ক্ষিপ্ত সব ক’টি ছাত্র সংগঠন। রেশমির দল ডিএসও সকলের মনোনয়ন পত্রের বৈধতার দাবিতে সরব।
অন্য কলেজে কেন এই বিতর্ক নেই? ছাত্র সংগঠনগুলির এই প্রশ্নেরও মোকাবিলা করতে হচ্ছে অধ্যক্ষকে। তাঁর অবশ্য সাফ কথা, “অন্য কলেজে হয় সব প্রার্থীর ৭৫% উপস্থিতি রয়েছে, তা না হলে অন্যায় ভাবে ৭৫% দেখানো হয়েছে।” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমি কেন সেই অন্যায় করতে যাব?’’ তাঁর কথায় অবশ্য সন্তুষ্ট নয় কোনও ছাত্র সংগঠনই। এবিভিপি এ বিষয়ে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। ধর্মঘট করেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন, এনএসইউআই। অধ্যক্ষের আশা, শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে। ১৩ অক্টোবর শ্রেণি-প্রতিনিধি নির্বাচন হয়ে গেলে আর ঝামেলা হবে না। তবে সেখানেও ৭৫ শতাংশের বিধি কাজ করবে, জানিয়ে দিয়েছেন অনড় অধ্যক্ষ। কিন্তু ছাত্র সংসদের ১৬টি আসনে যে নির্বাচন বাতিল হয়ে গেল, তার কী হবে? অধ্যক্ষের কথায়, বিধান রয়েছে নির্বাচন বিধিতে। শ্রেণি-প্রতিনিধি নির্বাচনের পর শূন্য পদে কলেজ কর্তৃপক্ষ সংসদের পদাধিকারীদের মনোনয়ন করবে। তা মানতে নারাজ এনএসইউআই, এবিভিপি এবং ডিএসও। |
|
|
|
|
|