|
|
|
|
পুজো-বাজেট-চাঁদা নয়, যুবাকর্মী কমায় উদ্বেগে রামকৃষ্ণ মিশন |
উত্তম সাহা • শিলচর |
জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে গতবারের চেয়ে অনেকটা। তাই খরচ সংকুলান নিয়ে চিন্তায় ছোট-বড় বহু পুজো কমিটিই। ব্যতিক্রম আগরতলা রামকৃষ্ণ মিশন। বাজেট তৈরি, চাঁদা আদায় নিয়েও দুশ্চিন্তা নেই তাঁদের। কিন্তু চিন্তা অন্যত্র। কম বয়সী, উদ্যোগী স্বেচ্ছাসেবকের আকাল যেন দিন দিন বাড়ছে।
আগরতলা রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী গীতাকামানন্দ মহারাজের কথায়, “আমাদের দুর্গোৎসবে দু-আড়াই লক্ষ টাকার বেশি দরকার পড়ে না। আর সে টাকা উঠে যায় ভক্তদের দান থেকেই। বরং কিছু বেশিই ওঠে। উদ্বৃত্ত অর্থে কালীপুজো হয়। কিছু টাকা আশ্রম তহবিলেও রাখা হয়।” তাই বাজেট-টাজেট তৈরির ব্যাপার নেই তাঁদের। সম্পাদক জানান, প্রতিদিন ফল প্রসাদ দেওয়া হয় ভক্তদের। অষ্টমীতে পাত পেড়ে খিচুড়ি প্রসাদ। ওতে অর্ধেক খরচ, আর বাকি সব মিলিয়ে অর্ধেক। কুমারী পুজো, ভাণ্ডারাএই তো খরচ।
পুজো নিয়ে মহারাজদের চিন্তা নেই, তবু তলে তলে একটা উদ্বেগ কাজ করেই যাচ্ছে। টাকা এবং বিভিন্ন সামগ্রী হাতে ভক্তরা বসেই আছেন। শুধু সংগ্রহ করে আনাটাই সমস্যা। স্বামী গীতাকামানন্দর কথায়, “ওখানেই যত সমস্যা! যুবা স্বেচ্ছাসেবক আসছে না। এ বার যে স্বেচ্ছাসেবক সভা আহ্বান করা হয় তাতে কমবয়সি কয়েক জন মাত্র যোগ দিয়েছে। বাকিরা প্রবীণ, বৃদ্ধ। তাঁরাই যান ভক্তদের কাছে। টাকাপয়সা-জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। কী আর করা যাবে!”
আগরতলার মিশন প্রধানের কথায়, বাধ্য হয়ে অনেক আশ্রম চাঁদা বন্ধ করে দিয়েছে। ভক্তরা যা দিয়ে যান ওতেই পুজো করেন তাঁরা। আগরতলাতেও হয়তো তাই করতে হবে। কিন্তু সংগ্রহের ব্যাপারটা না থাকলে আশ্রমের জনসংযোগ কমে যায়, মন্তব্য করেন স্বামী গীতাকামানন্দ। তাঁর আক্ষেপ, পশ্চিমী প্রভাব যুবক-যুবতীদের আধ্যাত্মিক ও সেবামূলক কাজকর্ম থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। ত্যাগ ও সেবায় তাঁরা মনোনিবেশ করতে পারছেন না।
কী করণীয়? স্বামী গীতাকামানন্দ বলেন, বিষয়টি তো শিখিয়ে-পড়িয়ে দেওয়ার নয়। এ হল এক প্রদীপ থেকে আরেক প্রদীপ জ্বালানোর মতো। |
|
|
|
|
|