|
|
|
|
গুজরাতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায় ব্রিটিশ সরকার |
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় বিদেশে বড় ধাক্কা খেয়েছিল নরেন্দ্র মোদী ও গুজরাতের ভাবমূর্তি। ওই দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন ব্রিটিশ নাগরিকরা। ফলে, আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেনও গুজরাতকে কার্যত অচ্ছুৎ করেই রেখেছিল। কিন্তু, সেই গুজরাতের সঙ্গেই
এ বার সম্পর্ক তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে ব্রিটিশ সরকার। দেরিতে হলেও ব্রিটেনের বোধোদয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মোদী। সেই সঙ্গে তাঁর
কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ গুজরাতের গুরুত্ব বোঝেননি। কিন্তু, ব্রিটেন বুঝতে পেরেছে।
ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী হুগো সোয়্যার বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চায় ব্রিটেন। তাঁর বক্তব্য, গুজরাতে অনেক ব্রিটিশ নাগরিক কাজ করেন। তাঁদের সাহায্য করতে চায় ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটেনেও অনেক গুজরাতি থাকেন। সোয়্যারের মতে, এই অনাবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতেও গুজরাতের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করা প্রয়োজন। ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস বেভানকে গুজরাত সফরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সোয়্যার। তাঁর রিপোর্ট পাওয়ার পরে ভবিষ্যৎ কৌশল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে লন্ডন।
২০০৩ সালে ব্রিটেনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মোদী। ২০০৫ সালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকির দোহাই দিয়ে তাঁকে ব্রিটেনে আসতেই দেওয়া হয়নি। ফলে, ব্রিটেনের এই ভোল বদলে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত মোদী। টুইটারে তিনি বলেছেন, “এ সবই ঈশ্বরের আশীর্বাদ। দেরিতে হলেও ব্রিটেনের বোধোদয় হয়েছে। তারা স্বাগত।” তবে ২০০২ সালে নিহত ব্রিটিশ নাগরিকদের ভোলেনি লন্ডন। সোয়্যারের বক্তব্য, তাঁদের জন্য সুবিচার পেতেও গুজরাতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করা প্রয়োজন। |
|
|
|
|
|