গ্রেফতারের ১৮০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা পড়েনি। তাই রাষ্ট্রদ্রোহ ও বেআইনি কার্যকলাপের মামলায় জামিন পেলেন মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির নেত্রী দেবলীনা চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় তাঁকে জামিন দেন।
গত এপ্রিলে নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলন থেকে দেবলীনা-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে সিআইডি ২০১০ সালের একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। আরও পরে ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও মামলা করা হয় দেবলীনার বিরুদ্ধে। সিআইডি-র অভিযোগ, দেবলীনা মাওবাদী কাজকর্মে জড়িত। ২০১০ সালে দক্ষিণ শহরতলি থেকে মধুসূদন মণ্ডল-সহ পাঁচ মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁরা এখন আলিপুরের নবম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দায়রা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। সেই মামলাতেই অভিযুক্ত করা হয় দেবলীনাকে। নন্দীগ্রামেও মাওবাদী কার্যকলাপে দেবলীনার যোগ ছিল বলে জানায় সিআইডি।
গোয়েন্দাদের দাবি, ২০১১ সালে নন্দীগ্রামের গাংড়ায় সঞ্জয় দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মাওবাদীদের বৈঠকে ছিলেন দেবলীনা। সে-দিন পুলিশি হানায় ওই বৈঠক থেকে সঞ্জয় (শুভ) ও পরশুরাম (নারায়ণ) দাস নামে দু’জন ধরা পড়েন। তাঁদের জেরা করে ও অন্য কিছু মাওবাদী নথি থেকে মাওবাদীদের সঙ্গে দেবলীনার যোগাযোগের কথা জানা যায় বলে পুলিশের দাবি। আইন অনুযায়ী ইউএপিএ মামলায় ১৮০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে হয়। তিন দিন আগে সময়সীমা পেরিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিআইডি আদালতে চার্জশিট পাঠায়নি। অভিযুক্তের আইনজীবী সর্বাণী রায় জানান, দু’বছর আগের মামলায় তাঁর মক্কেলকে অভিযুক্ত করা হয়। আগেই সেই মামলায় বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে সিআইডি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ‘সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট’ দিতে পারেনি। দেবলীনা ১৮৩ দিন ধরে হাজতবাস করছেন। এর পরেই বিচারক জামিনের নির্দেশ দেন। |