১৫-১৬ বছর আগে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার তৈরি করার জন্য কৃষি জমি দিয়েছিলেন দুবরাজপুর ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, সরকারের তরফে প্রত্যেক পরিবারের কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেওয়া হলেও আধিকাংশ পরিবার জমির দাম ছাড়া কিছুই পাননি। তাই বৃহস্পতিবার সকালে দুবরাজপুর ব্লক আফিসের সামনে আবস্থান-বিক্ষোভ করলেন মেটেলা, গুণ্ডোবা, বনহরি এবং বাঁধেরশোল গ্রামের বেশকিছু মানুষ। পরে তাঁরা ১০ দফা দাবিতে বিডিও স্মারকলিপি দেন। |
মেটেলার শৈলেন দাস, সঞ্জয় রায়, বনহরির জীবন মণ্ডল, গুণ্ডোবার কৌশিক মাহাতাদের দাবি, “যে সময় জমি দেওয়া হয়েছিল, তখন জমির দাম বাবদ বিঘা প্রতি আট হাজার টাকা করে পেয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি ছিল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।” তাঁদের অভিযোগ, “কিন্তু ‘এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের এগজামটেড’ বিভাগে নাম নথিভূক্ত করা মুষ্টিমেয় কিছু জনের চাকরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেকক্ষেত্রে হেনস্থার জন্য ওই বিভাগে নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি অনেকে। আবার যাঁরা জমি দিয়েছিলেন এত বছর বাদে তাঁদের তো বটেই আনেকের ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়স চল্লিশ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না।” দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাঁদের মূল দাবি তিনটি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার, ওই তালিকাতে নাম নথিভূক্ত করানোর সুযোগ তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত করা এবং কার্ড পেতে হেনস্থার অভিযোগ। এই বিষয়গুলি যথাস্থানে জানাব।” |