এখানেই হত্যা করা হয় জুলিয়াস সিজারকে।
ভোর না হতেই ব্যস্ত পায়ের আনাগোনা। কেউ ধরবেন ট্রাম, কেউ আবার ছুটছেন বাসের পিছনে। আর রোজকারের এই ব্যস্ততা ছুঁয়েই হাজার হাজার বছর ধরে পথের পাশে পড়ে রয়েছে রোম সম্রাট সিজারের শেষ মুহূর্তের সাক্ষী।
‘ব্রুটাস তুমিও?’ শেক্সপিয়ারের লেখনীর দৌলতে ছুরিকাহত সিজারের শেষ উক্তির সঙ্গে পরিচিত মোটামুটি সকলেই। সমকালীন সাহিত্য থেকে পরবর্তী কালের বিভিন্ন লেখাপত্তর, থিয়েটার-সিনেমায় নানা ভাবে উঠে এসেছে সিজারের মৃত্যুর মুহূর্ত। কিন্তু তাঁর মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসকের বুকে ছুরি মারার ঘটনা ঠিক কোথায় ঘটেছিল, তার কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ অবশ্য আগে মেলেনি। |
সম্প্রতি রোম সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক কেন্দ্র তোরে আর্হেন্তিনার ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখেন কয়েক জন স্পেনীয় গবেষক। তাঁদের দাবি, অবশেষে চিহ্নিত করা গিয়েছে সেই বিশেষ জায়গা। কিউরিয়া অফ পম্পেই-এ রোমের সেনেটের অধিবেশনে সে দিন সভাপতিত্ব করছিলেন সম্রাট সিজার। চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই তাঁকে ছুরিকাহত করেন সহযোগীরা।
তিন মিটার চওড়া, দু’মিটার লম্বা আয়তকার কংক্রিটের এক কাঠামো খুঁজে পেয়েছেন স্পেনের ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের সদস্যরা। আন্তোনিও মন্তেরোসা নামের এক গবেষকের কথায়, ওই কাঠামোটি এখন যেখানে আছে, সেখানেই পড়ে যান ছুরিবিদ্ধ সিজার। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পরে কাঠামোটি তৈরি করেছিলেন জুলিয়াস সিজারের পালিত সন্তান অগস্তাস। তাঁর পর রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হন এই অগস্তাসই।
কিউরিয়া অফ পম্পেই-এর পাশাপাশি তোরে আর্হেন্তিনার অন্য অংশেও খোঁজ চালাচ্ছেন গবেষকরা। রোমের ইতিহাসের নতুন দিশার সন্ধানে। |