দোষীরা চিহ্নিত, ইঙ্গিত মন্ত্রীর
সামান্য উন্নতি পাক কিশোরীর, যদিও বদল করা হল হাসপাতাল
ব্যানার আর বড় বড় প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গিয়েছে লাহৌরের মল রোড। মোমের আলোয় একটাই স্লোগান, “মালালা, আমরা সবাই তোমার পাশে আছি।”
যাঁর জন্য এত প্রার্থনা, ১৪ বছরের সেই কিশোরী, মালালা ইউসুফজাই হাসপাতালের শয্যায় এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চলেছে। আজ তাকে বিশেষ বিমানে পেশোয়ারের সেনা হাসপাতাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। গত দু’দিন ধরে পেশোয়ারের সেনা হাসপাতালের আইসিইউ-এ ভর্তি ছিল সে। গত কাল অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করে নেওয়া হলেও এখনই বিপদ কেটে যাওয়ার আশ্বাস দিতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলেন, “এই মুহূর্তে ও কিছুটা ভাল আছে। গত দু’দিন ধরে ভেন্টিলেটরেই রয়েছে মালালা।

মালালা ইউসুফজাই
গুলিতে মস্তিষ্কের বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বেঁচে যাওয়ার ৭০ শতাংশ সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি।” আরও সুযোগসুবিধা মিলবে বলেই তাকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হল বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
চিকিৎসার জন্য মালালাকে দুবাইয়ে পাঠানো হতে পারে, এমন একটা কথাও কানাঘুষো শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু আজ পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক জানান, এমন কিছু করা হচ্ছে না। মালালাদের এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে অবশ্য জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল রিপোর্ট বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “ব্রিটেন কিংবা দুবাইয়ে যদি চিকিৎসার আরও বেশি সুযোগসুবিধা পাওয়া যায়, তা হলে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে মালালাকে। না হলে এখানেই চিকিৎসা হবে।
মঙ্গলবার পুলিশের ছদ্মবেশে স্কুলবাসে উঠে তালিবান জঙ্গিরা মালালার মাথায় আর ঘাড়ে গুলি করে। এ সময় তাঁর আরও দুই বন্ধুও আহত হয়। গত দু’দিন ধরে তাঁদের চিকিৎসা, সুস্থ হওয়া নিয়েই ব্যস্ত ছিল গোটা দেশ। ‘দেশের কী অবস্থা’, ‘এক দল মানুষ চায় না দেশের-দশের-সমাজের উন্নতি হোক’ এমন নানা মন্তব্য ভেসে আসছিল। দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা প্রশ্নটাই উঠেছে আসছে। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে কী ভাবে এমন একটা ঘটনা ঘটল? এবং তার পর সেনা-পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে পালিয়ে গেল লোকগুলো?
রেহমান মালিক অবশ্য আজ দাবি করেছেন, দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এর বেশি আর কিছুই বলেননি তিনি।
মালালার তখন ১১। তালিবানের হুমকি উপেক্ষা করে মেয়েদের পড়াশোনার অধিকারের দাবিতে ছোট্ট মেয়েটার লড়াই শুরু হয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান-কি-মুন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, এমন এক মেয়ের জন্য চিন্তিত সকলেই। ওবামা বলেন, “বাচ্চাদের উপরে এ ভাবে হামলা চালান, কাপুরুষের মতো কাজ ছাড়া আর কিছুই না। মালালা আর ওর বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা করছি। আর ওদের পরিবারের জন্যও।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.