|
|
|
|
যুব তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জামুড়িয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
যুব তৃণমূলের একাংশ সংগঠনের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লা কারবারে যুক্ত থাকা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন। জামুড়িয়া ২ ব্লক যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি উদিত সিংহের নেতৃত্বে বেশ কয়েক জন সদস্য-সমর্থক সংগঠনের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতির কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জামুড়িয়া ২ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি গোপীনাথ পাত্রের বিরুদ্ধে সংগঠনের যে সব সদস্যেরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাঁদের অভিযোগ, গোপীনাথবাবু ও তাঁর ভাই অবৈধ কয়লা কারবারে জড়িত। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আদায়, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায়ও করেন। আরও অভিযোগ, কিছু দিন আগে গোপীনাথের নেতৃত্বে কেন্দা পুলিশ আউটপোস্টের কাছে ইসিএলের ২৪ বিঘা জায়গা দখল করে পাঁচিল দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রশাসনের সাহায্যে ইসিএল ওই জায়গা দখলমুক্ত করে। অভিযোগকারী সদস্যদের দাবি, এ সবের জন্য সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সভাপতিকে পদ থেকে সরাতে হবে। উদিত সিংহ বলেন, “যা জানানোর জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।”
গোপীনাথবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাই ইসিএলের নিউ কেন্দা এজেন্ট আবাসন থেকে গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করেছিলেন। আমি ইসিএলের সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানাই। তার ভিত্তিতে ইসিএল কর্তৃপক্ষ কেন্দা পুলিশ আউটপোস্টে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।” গোপীনাথবাবু আরও বলেন, “শুনেছি, জেলা নেতৃত্বের কাছে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাতে লিখেছে, তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমতি না নিয়ে আমরা যুব সংগঠনের বৈঠক করেছি। যুব কমিটির বৈঠক করতে গেলে দলের অনুমতি নিতে হয় কি না, আমার জানা নেই।” তাঁর দাবি, “এলাকায় কারা কয়লা পাচারে যুক্ত মকুলবাবুরা ভাল ভাবেই জানেন। আমাদের প্রভাব বাড়লে কয়লা ও লোহা পাচার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কাতেই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।”
কেন্দা এরিয়ার জিএম মহম্মদ ইউনিস আনসারি জানান, গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে ইসিএল কর্মী আবাসন থেকে কিছুটা দূরে একটি কাটা গাছ তারা বাজেয়াপ্ত করে। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কারও নামে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। মুকুলবাবুর দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা পুলিশি তদন্তেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে গোপীনাথের গ্রাম ডোবরানা থেকে অবৈধ কয়লা, লোহা পাচারের সময়ে বেশ কয়েক বার আমরা পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দিয়েছি।” জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অভিজিৎবাবু জানান, সংগঠনের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। |
|
|
|
|
|