রায়গঞ্জে এইমস
জমি আছে, মত মানসের
রায়গঞ্জে এইমস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি রয়েছে বলে দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বুধবার বাগডোগরায় দলীয় অফিসে শ্রমিক কংগ্রেসের এক সভায় ওই মন্তব্য করেন মানসবাবু। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, এইমস তৈরির জন্য ১৫০ একর জমির প্রয়োজন। ওই জমি কল্যাণীতে রয়েছে। রায়গঞ্জে ২০ একরের বেশি জমি পাওয়া যাচ্ছে না। কল্যাণীর পরে রায়গঞ্জের কথা ভাবা যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এদিন মানসবাবু বলেন, “রায়গঞ্জে এইমস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি রয়েছে। ইচ্ছুক চাষিরা সাংসদ দীপা দাশমুন্সি, বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে প্রশাসন উদ্যোগী হচ্ছে না। সরকার রাজনৈতিক বিদ্বেষের কারণে রায়গঞ্জে এইমস করতে চাইছেন না। সুব্রতবাবু যা বলছেন তা ঠিক নয়।” তিনি দাবি করেন, আগে রায়গঞ্জে এইমস হোক। তার পরে কল্যাণীতে হলে কোনও আপত্তি নেই তাঁদের। তিনি বলেন, “রায়গঞ্জে পরে আরও পাঁচ জায়গায় এইমস হোক তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্বপ্ন এভাবে নষ্ট করা যাবে না। রায়গঞ্জেই এইমস করতে হবে। সে জন্য আন্দোলন চলবে।” মানসবাবু তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের কাজ নিয়েও প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, তিনি যে সময় সেচমন্ত্রী ছিলেন সে সময় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, “দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুরে জমির কারণে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের কাজ আটকে আছে। বিষয়টি নিয়ে বার বার দুই জেলার জেলাশাসকদের জমির সংস্থান করতে বলেছি। কিন্তু সে ব্যপারে চেষ্টা হচ্ছে না। ওই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে আরও ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে জল দেওয়া যাবে।” রাজ্যের পরিবর্তনের পরেও কোনও সুশাসন হয়নি বলে তিনি দাবি করেন, তিনি বলেন, “মানুষ অগ্রগতি, উন্নয়ন, শান্তির জন্য রাজ্যে পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু আদতে তা হয়নি। শুধু লাল পতাকার জায়গায় তেরঙ্গা ফুল পতাকা এসেছে। বাকি সব একই রয়েছে। এই হালে দেখে মানুষ হাউহাউ করে কাঁদছেন। তিনি কর্মীদের চিহ্নিত করে দিয়ে বলেন, “এতদিন শত্রু চিহ্নিত ছিল। এখন বন্ধু শত্রু হয়েছে। এটা ভয়ঙ্কর।” রাজ্যের কৃষকরা ধান, পাটের সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন মানসবাবু। তিনি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জন্য দলের কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসও একা লড়বে। দার্জিলিং জেলা, বাগডোগরায় সমস্ত আসনে জিততে হবে। সে ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। মানুষের কাছে যান।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.