গাড়ির জন্য পথকর জমা দিতে আর মোটর ভেহিক্যালস দফতরে গিয়ে হন্যে হতে হবে না। দালাল ধরতে হবে না জমির খাজনা দিতে গিয়ে। রাজ্যের বিভিন্ন কর ও শুল্ক জমা দেওয়া যাবে অনলাইনেই। ফলে বন্ধ হবে ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার রাস্তাও।
বুধবার থেকেই বেশ ক’টি দফতরকে নিয়ে এই ই-ব্যবস্থা চালু করল রাজ্য সরকার। নাম দেওয়া হয়েছে গভর্নমেন্ট রিসিট পোর্টাল সিস্টেম (গ্রিপস)। রাজ্য অর্থ দফতরের ওয়েবসাইট (www.wbfin.nic.in)-এই রয়েছে এই বিশেষ ব্যবস্থা।
এ দিন মহাকরণের রোটান্ডায় গ্রিপস চালুর ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, “অর্থ দফতরের বাণিজ্যিক কর, আবগারি ইত্যাদি শাখা তো বটেই, ভূমি রাজস্ব, পরিবহণের মতো দফতরও এই ব্যবস্থার আওতায় এল এ দিন থেকেই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারের প্রতিটি দফতরকেই এই ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
অমিতবাবু জানান, এই ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের দু’ভাবে উপকার হবে। তাঁর কথায়, “অনেককেই পথকর দিতে গিয়ে মোটর ভেহিক্যালস বিভাগে গিয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় তাঁরা ঘরে বসেই অনলাইনে কর জমা দিতে পারবেন। তা ছাড়া, অনেক সময় অনেকের নগদ টাকা জোগাড় করতে অসুবিধা হয়। তাঁরা (ডেবিট বা ক্রেডিট) কার্ডে টাকা জমা দিতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “জমির খাজনা জমা দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে দালালের পাল্লায় পড়তে হয়। অনলাইনে টাকা জমা দিলে সে সমস্যা থাকবে না। কেউ যদি নগদ টাকা জমা দিতে চান, তারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘গ্রিপস’-এ ঢুকে জমির খাজনার জন্য নাম নথিভুক্ত করলেই মিলবে একটি বিশেষ পরিচিতি নম্বর। একই সঙ্গে ওয়েবসাইট-ই জানিয়ে দেবে, কত খাজনা বাকি। এটির প্রিন্ট নিয়ে তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা করলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরকারি কোষাগারে চলে আসবে।”
এ ছাড়া, ছোট দোকানদার থেকে বড় ব্যবসা সংস্থা সবাই এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজে কর জমা দিতে পারবেন বলে অর্থমন্ত্রী দাবি করেন। এর আগে এই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছিল ওড়িশা। অর্থমন্ত্রী জানান, এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে একসঙ্গে সব দফতরকে যুক্ত করে এই ব্যবস্থা চালু হল। এ দিন রোটান্ডায় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুখ্য আঞ্চলিক আধিকারিক, ১৪টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি এবং সরকারের অধিকাংশ দফতরের সচিব। |