পুরুলিয়ার স্টেশন ম্যানেজারের সহায়তায় এক যাত্রীর ব্যাগ ফিরিয়ে দিলেন এক রিকশাচালক। ঘটনাটি মঙ্গলবারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকালে হাওড়া-চক্রধরপুর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার থেকে এক ব্যক্তি পুরুলিয়া স্টেশনে নেমে বাসস্ট্যাণ্ডে যাওয়ার জন্যে একটি রিকশা নেন। রিকশাচালক পুরুলিয়া শহরের সিন্দারপট্টি এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর বাউরি বলেন, “উনি ভাড়া মিটিয়ে চলে যাবার পরেই লক্ষ্য করি তাঁর ব্যাগ রিকশায় ফেলে গিয়েছেন। খোঁজ করেও তাঁকে পাইনি। তখন আমি রেল স্টেশনে গিয়ে ব্যাগটি ফিরিয়ে দিই।” পুরুলিয়ার স্টেশন ম্যানেজার শ্যামাপ্রসাদ মজুমদার বলেন, “ওই ব্যাগে পাওয়া সচিত্র পরিচয়পত্র থেকে যাত্রীর নাম ও ঠিকানা জানতে পেরে বরাবাজার থানায় খবর দিই। কারণ ঠিকানায় হিসেবে বরাবাজারের নাম লেখা ছিল। রে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে অনুপকুমার গৌরী নামে ওই যাত্রী স্টেশন থেকে নিজের ব্যাগ নিয়ে যান।” বরাবাজারের বাসিন্দা অনুপবাবু বলেন, “তাড়াহুড়োয় আমি একটি ব্যাগ নিয়ে নামলেও অন্য ব্যাগটি নিতে ভুলে যাই। ওই ব্যাগে আমার বেশ কিছু দরকারি কাগজপত্র ছিল। বাসে বরাবাজার যাওয়ার পথে কিছুক্ষণ পর মনেও পড়ে। ভেবেছিলাম ব্যাগটা কি আর পাওয়া যাবে? তার মধ্যেই আমি ফোনে খবর পেয়ে পুরুলিয়া স্টেশনে গিয়ে ব্যাগটা নিই। রিকশাচালককে অসংখ্য ধন্যবাদ।” আর রিকশাচালক শঙ্কর বাউরিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, “যাঁর ব্যাগ তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে ভাল লাগছে।”
|
তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এবং মাওবাদী লিঙ্কম্যান সন্দেহে বারিকুল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ির এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত সরোজ পাল নামে বছর একুশের ওই যুবকের বাড়ি বেলপাহাড়ি থানার নেগুড়িয়া গ্রামে। বুধবার ভোরে বারিকুলের নেকড়াপচা গ্রাম থেকে তাঁকে ধরা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “২০১০ সালের ১৭ জুলাই বারিকুলের নেকড়াপচা গ্রামের বাসিন্দা তথা শ্যামসুন্দরপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সমীর পাল খুন হন। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সরোজ পালকে ধরা হয়েছে।” তিনি মাওবাদীদের লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করতেন বলে পুলিশের দাবি। মঙ্গলবার রাতে সরোজ নেকড়াপচা গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছেন বলে গোপন সূত্রে পুলিশ তা জানতে পেরে সেখানে হানা দেয়। সেখান থেকেই তাঁকে ধরা হয়। বুধবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে ৪ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
|
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বন্ধ হচ্ছে না কোতুলপুরে। মঙ্গলবার রাতে কোতুলপুরের কোয়ালপাড়ায় তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর মারে ব্লক নেতা সালাম খাঁ গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ। সে দিন রাতেই তৃণমূলেরই কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। সালাম এলাকায় ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াইয়ের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বলে পরিচিত। স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। সালামের ছেলে মহিদুল ইসলাম খাঁর অভিযোগ, “কোয়ালপাড়ায় বাবার তৈরি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় প্রবীর গড়াইয়ের লোকজন দখল করতে এসেছে খবর পেয়ে রাতে সেখানে যায়। প্রবীরের লোকেরা বাবাকে মারধর করে বাবার বাঁ হাত ভেঙে দেয়। পুলিশকে জানানো হয়েছে। তবে প্রবীরবাবুর পাল্টা দাবি, “স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সঙ্গে গোলমালে সালাম মার খেয়েছেন বলে শুনেছি। আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত নয়।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
|
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পরেও বিধবা ভাতা মেলেনি। ১০০ দিন কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি হচ্ছে। এমনই বহু অভিযোগ তুলে বুধবার খাতড়া ব্লকের সুপুর পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কর্মীরা। পরে প্রধানের কাছে ৭ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। সুপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মহাদেব গিরির অভিযোগ, “২০০৮ সালে এলাকার ৫৬৯ জন দুঃস্থ বিধবাকে ভাতার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়। কিন্তু এখনও তাঁদের বিধবা ভাতা দেওয়া হয়নি। বিধবা ভাতার তালিকা থেকে কয়েকজনের নামও বাদ দিয়েছেন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান।” সুপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের সূর্যনারায়ণ কিস্কু অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “সরকারি নিয়মে কাজ হচ্ছে। নিয়মের জটিলতায় বিধবা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়।” |