প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা গাড়ির ভিড়ে যানজটের শিকার উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। পুজোর সময় এই চাপ যে ভয়াবহ হবে তা বলাইবাহুল্য। শিল্পাঞ্চলে মোট দুর্গাপুজোর সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। এর অধিকাংশই ঘিঞ্জি এলাকায় রাস্তার ধারে হওয়ায় পুজোর সময় দর্শনার্থীদের ভিড় রাস্তা ছাপিয়ে যায়। গত পাঁচ বছরে কলকাতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে থিম পুজোর চল বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিযোগিতার বহর। পুজো পরিক্রমা, প্রশাসনের নজরদারি গাড়ি-সহ প্রতিদিন রাস্তায় এমনিতেই যত গাড়ি চলাচল করবে তাতে যানজটের যন্ত্রণায় জেরবার হতে হবে বলে মনে করছেন খোদ প্রশাসনের কর্তারাই। এর উপর যেখানে সেখানে পিচ উঠে গর্ত তৈরি হওয়া বেহাল রাস্তাতো আছেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল পুজোর আগে রাস্তা সারানোর। কিন্তু বাস্তবে বেহাল রাস্তার ছবিই বর্তমান।
এই প্রতিকূলতা সামাল দিতে বেশি সংখ্যক বিশেষ প্রশিক্ষিত ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সে জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রায় চারশ হোমগার্ড ও একশ কনস্টেবলের প্রশিক্ষণ। পুজোর প্রথম দিন থেকে শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ ঘিঞ্জি রাস্তাকে একমুখি করা হচ্ছে।
ব্যারাকপুরে ডিসি (ট্রাফিক) কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর সময় লাগামছাড়া যানজটের মোকাবিলা করতেই এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা শহরে যে ভাবে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা ছাড়াও আরও কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জন ঘনত্ব ও বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে। রেল স্টেশনগুলিতে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বড় ফ্লেক্সে এলাকা ভিত্তিক পুজোর গাইড ম্যাপ এবং হেল্পলাইন নম্বরের ব্যবস্থা থাকছে। ট্যাক্সি ও অটোর জন্য নো- রিফিউজাল বুথ করা হয়েছে। সেখানে সর্বক্ষণ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যে সব পুর এলাকায় রাস্তা খারাপ সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে অবিলম্বে রাস্তা সারানোর জন্য।’’
পুজোর আগে এত অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের ব্যস্ত রাস্তাগুলি সারাতে গেলে যানজট ভয়ঙ্কর আকার নেবে। ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের উত্তম দাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করা হবে। তবে বৃষ্টির জন্য রাস্তা সারানোর কাজে একটু দেরি হচ্ছে। সেন্ট্রাল রোড-সহ ব্যারাকপুরের সব রাস্তাই সারানো হবে। যানজট এড়াতে বেশি রাতে কাজ শুরু করে ভোরের মধ্যে তা শেষ করা হবে।” |