• সকাল ৮টা: জঙ্গিপুর বিধানসভার ৬৪ নং বুথে ইভিএম বিকল ঘন্টাখানেক। ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর নতুন ইভিএম এলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একই সঙ্গে লালগোলা বিধানসভার চারটি বুথেও ইভিএম খারাপ হয়ে যায়। পরে বিকল্প ইভিএম নিয়ে আসা হয়।
• সকাল ৯.৩০: ৩০ নং লালখান্দিয়ার ব্যারেজপাড়া প্রাথমিক স্কুলে গোলমাল বাধে। সিপিএমের অভিযোগ, কংগ্রেসের লোকজন অবাধে বুথে ঢুকছে। সিপিএম প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট সোমনাথ সিংহরায় বলেন, “ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।” যদিও ওই প্রিসাইডিং অফিসার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
• সকাল ৯.৪৫: লালখান্দিয়ার ব্যারেজপাড়া প্রাথমিক স্কুলে আচমকা হাজির হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদার। বুথে অনুপ্রবেশের অভিযোগে হাতেনাতে সাইফুদ্দিন শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেন তিনি। |
তবে সামান্য যেটুকু গণ্ডগোল হয়েছিল,
তা পুলিশ সামল দিল শান্তিপূর্ণ ভাবেই। |
• বেলা ১১.৪০: বিজেপি যুব মোর্চার সম্পাদক সোমনাথ মাহান্তোর অভিযোগ, আহিরণের বাঙাবাড়ির কয়েকটি বুথে এক পুলিশ অফিসার পুরনো মামলা রয়েছে এই অভিযোগে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ভোটদানে বাধা দিচ্ছে। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন,
“আহিরন এলাকায় কিছুই ঘটেনি।”
• সকাল ১১.৪০: লালগোলা থানার সহায়তা কেন্দ্রটি এদিন ছিল একেবারেই অন্য চেহারায়। ভোটের ডিউটিতে এসে জমিয়ে তাস খেলতে ব্যস্ত ছিলেন একদল পুলিশকর্মী। নির্বাচন সংক্রান্ত কোন গোলমাল হয়নি ঠিকই তবে জমে উঠেছিল টেক্কা, বিবি, গোলামের লড়াই।
• বেলা ১২.৩০: বুথ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এই সরকারি ঘোষণার প্রতিবাদে জালালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবরোধ করেন জাগুনপাড়া গ্রামের শতাধিক মহিলা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মহিলাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আহত হন চারজন মহিলা। ঘন্টা দুয়েক পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও ভোট দিতে আসেননি কেউই।
|
ভোট হল নির্বিঘ্নেই। দীর্ঘ লাইন যেমন দেখা গিয়েছে ভোট দিতে,
তেমনই দেখা মিলেছে শূন্য বুথের। |
• দুপুর ২ টো: ভোট বয়কট করে রীতিমতো চড়ুইভাতি করে ফেললেন নতিবেরপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। ভোটকেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে উনান খুঁড়ে হইহই করে চালে-ডালে ফুটিয়ে গরম খিচুড়ি আর মুচমুচে আলুভাজা।
• বেলা ৩. ১৪: ঝেঁপে বৃষ্টি এল। বহু জায়গায় যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা লাইন ভেঙে উঠে গেলেন ঢাকা জায়গার সন্ধানে। তবে বুথে যাতে কেউ ঢুকে পড়তে না পারেন, সেই দিকে কড়া নজর ছিল পুলিশের।
• বেলা ৩. ৪৫: সাগরদিঘিতে মোজাফ্ফর হোসেনকে দেখে মুড়ির বাটি এগিয়ে দিলেন দলেরই এক কর্মী। সিপিএম প্রার্থীর সারা দিন তেমন কিছুই খাওয়া হয়নি। সময়ই পাননি। কেবল গলা দিয়ে নেমেছে কয়েক কাপ চা।
• বেলা ৫.৩০: সাংবাদিকদের নিজের বাড়িতে ডেকে কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বললেন, “আমি জিতবই।” |
কোথাও গ্রামবাসীরাই খাইয়েছেন ভোটকর্মীদের। |
• সন্ধ্যা ৬. ৩০: দলীয় অফিসে বসে মোজাফ্ফর জানালেন, “জয় তো হবেই, তবে গিরিয়া এবং সেকেন্দ্রা নিয়ে আমি চিন্তায় রয়েছি। ওই এলাকার দশটা বুথে এজেন্ট দিতে পারিনি আমরা।”
• বেলা ৬. ৪৫: বৃষ্টি ধরেছে। ফিরতে শুরু করলেন ভোটকর্মীরা।
|