|
|
|
|
নিখোঁজ-মামলার শুনানি পিছোল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-মামলার শুনানির দিন পিছোল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে। বুধবার ওই মামলার বিচারপর্ব শুরুর জন্য নথিপত্র-সহ অভিযুক্তদের জেলা আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য করেছিল হলদিয়া আদালত। সেই মতো ওই মামলায় জামিনে থাকা সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ ১৫ জন (তিন জন অনুপস্থিত ছিলেন) ও জেল হেফাজতে থাকা ১০ অভিযুক্ত জেলা আদালতে হাজির হন। আদালতে ওই অভিযুক্তরা তাঁদের ‘সোপর্দ-পত্র’ জমা দেন। তবে জেলা ও দায়রা বিচারক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বিভাস পট্টনায়েক আগামী ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন। |
|
জমিরক্ষা আন্দোলনের সময়, ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে সিপিএমের সশস্ত্র সমর্থকরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। ওই হামলার পর দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিখোঁজ হন ৭ জন। নিখোঁজদের মধ্যে ৬ জনের পরিবার গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছর অক্টোবরে তদন্তে নেমে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ৮৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। ‘পলাতক’ লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়াকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে অবশ্য শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তাঁরা। ধরা পড়েন আরও অনেকে। পলাতকদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট হলদিয়া আদালতে জমা দিয়েছে সিআইডি।
এ দিকে, ১৯ জন জামিনপ্রাপ্তের মধ্যে ১৮ জন (১ জন মারা গিয়েছেন) ও ১০ জন জেলবন্দির জেলা আদালতে বিচারপর্ব শুরুর জন্য মামলা সোপর্দ করে হলদিয়া মহকুমা আদালত। বুধবার জেলা আদালতে হাজির হন জামিনে থাকা লক্ষ্মণবাবু, অমিয়বাবুরা। জামিনে থাকা তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন অসুস্থতার জন্য ও এক জন অন্য মামলায় কাঁথি আদালতে যাওয়ার জন্য হাজির হতে পারেননি। জেলা আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী সুবোধ মাইতি জানান, হলদিয়া মহকুমা আদালত থেকে ওই মামলার ২৮ জন অভিযুক্তকে বিচারের জন্য জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। ওই মামলা কোন এজলাসে হবে বা আদপে জেলা আদালতেই হবে কি না সেই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়ার কথা ছিল বিচারকের। কিন্তু জেলা ও দায়রা বিচারক না-থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আগামী ৩০ নভেম্বর এই সংক্রান্ত শুনানির দিন ধার্য করেছেন। |
|
|
|
|
|