ওডাফাকে আটকাতে তাঁর মন্ত্র -টার্নিং বন্ধ করো।
আর টোলগেকে রুখতে তাঁর টোটকা-জোনাল মার্কিং।
এই দুই অস্ত্রেই কি মোহনবাগানের চার কোটির দুই কোহিনুরকে আটকাতে পারবেন প্রয়াগ কোচ সঞ্জয় সেন? এটাই প্রশ্ন, প্রয়াগ শিবিরে। সঞ্জয় যদিও বলছেন, “গতবার তো ওডাফা-টোলগে আমাদের বিরুদ্ধে সে ভাবে সচল হতে পারেনি। এবারও দেখুন কী হয়!”
তাঁর নিজের গোলমেশিন র্যান্টি কাজ করতে শুরু করে দিয়েছেন প্রথম ম্যাচ থেকেই। কিন্তু ওডাফা-টোলগেকে কোনওমতেই কার্যকর হতে না দেওয়াই ছক সঞ্জয়ের। এয়ার ইন্ডিয়া ম্যাচে বেলো রাজাক লাল কার্ড দেখায় প্রয়াগ কোচের চ্যালেঞ্জটা আরও বেড়েছে।
শুক্রবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে চেতলার বাসিন্দা প্রয়াগ কোচের অঙ্ক দুটো। এক, জোনাল মার্কিংয়ে ভোঁতা করে দাও টোলগের পায়ে বল আসার রাস্তা। |
আক্রমণে। ভিনসেন্ট হয়তো র্যান্টির সঙ্গে। |
দুই, ওডাফাকে কোনওমতেই ঘুরতে দিও না। ‘কিং কোবরা’র গায়ে সেঁটে যেতে হবে একজনকে। বেলো থাকলে এই ধাক্কাধাক্কি করে ওডাফাকে নিষ্ক্রিয় করার কাজটা তিনিই পেতেন। কিন্তু বেলোহীন রক্ষণে এই দায়িত্ব যাচ্ছে মুম্বই এফসি থেকে আসা ধনচন্দ্র সিংয়ের ওপর। যদিও তাঁর সঙ্গে স্টপারে কে খেলবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
টোলগে উইং থেকে বল ধরেই হঠাৎই বাঁ দিক কিংবা ডান দিকে কাট করে গোলের দিকে ধেয়ে আসেন। তাঁকে বোতলবন্দি করতে প্রয়াগ কোচের অস্ত্র ‘জোনাল মার্কিং’। তাঁর জন্য দুই সাইড ব্যাক দীপক এবং সুখেনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
প্রয়াগ কোচ জানেন নবিদের দলের দুই সেরা অস্ত্রের যাবতীয় খুঁটিনাটি। গত মরসুমে মোহনবাগানের সঙ্গে তিন বার দেখা হয়েছিল প্রয়াগ ইউনাইটেডের। তিন বারই হেরেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। এর মধ্যে আই লিগের প্রথম পর্বের ম্যাচে সঞ্জয়ের দলের বিরুদ্ধে গোল পেয়েছিলেন ওডাফা।
ইস্টবেঙ্গলও তিন বারে মাত্র একবার হারিয়েছিল প্রয়াগকে। গোলের খাতা খুলতে পারেননি টোলগে।
উত্তর দেওয়ার জন্য প্রয়াগ কোচ আক্রমণে র্যান্টির পাশে রফিকের জায়গায় ভিনসেন্টকে খেলানোর পরিকল্পনা ছকে রেখেছেন। যাতে নড়বড়ে মোহনবাগান রক্ষণে আরও কাঁপুনি ধরে। আর নির্মল ছেত্রী ওভারল্যাপে না উঠে টোলগে-ওডাফাকে বল বাড়াতে না পারে তার জন্য বাঁ দিকে লেস্টার বা বিনীথের মধ্যে যিনি খেলবেন তিনি দায়িত্ব নেবেন। ডান দিকে, তুলুঙ্গা-কার্লোস-আসিফের ত্রিভুজ থেকে বল যাবে র্যান্টিদের পায়ে।
আর যে রক্ষণ মোহনবাগানের আক্রমণ ভোঁতা করার অস্ত্রে শাণ দিতে শুরু করে দিয়েছে বুধবার সকালের পর থেকেই, তার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আত্মবিশ্বাসী গৌরমাঙ্গি বলছেন, “টোলগে-ওডাফাকে চিনি। নেহরু কাপে ক্যামেরুনের এগারো বিদেশির বিরুদ্ধেও তো লড়েছি। তাই চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি।”
আর ওডাফাকে ভোঁতা করার দায়িত্ব যাঁর কাঁধে, সেই ধনচন্দ্র কী বলছেন? সেন্ট্রাল পার্ক ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে ইম্ফলের রসায়ন শিক্ষকের ছাত্র বলে গেলেন, “ওডাফাকে টার্নিংয়েই আটকাতে হবে। আর টোলগের জন্য জোনাল মার্কিং। তারপর দেখা যাবে কী হয়!”
|
ইস্টবেঙ্গল-ইউনাইটেড সিকিম ফুটবল ক্লাব (গ্যাংটক, ২-৩০)
পৈলান অ্যারোজ-এয়ার ইন্ডিয়া (যুবভারতী, ২-৩০)
পুণে এফসি-মুম্বই এফসি (পুণে, ৬-৩০)
চার্চিল ব্রাদার্স-ওএনজিসি (মারগাঁও, ৭-০০ টা) |