৩০০ গাছ লুঠ রাস্তা সম্প্রসারণে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
সম্প্রসারণের কাজ শুরু হতে সড়কের দু’পাশের অন্তত তিনশো বড় গাছ লুঠ হল। ময়নাগুড়ি থেকে চ্যাংরাবান্ধা রুটের সার্ক রোডে মাধাবডাঙা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বন দফতরের অনুমতি নিয়ে গাছগুলি কাটার জন্য দরপত্র ডাকার আগে দুষ্কৃতীরা সেগুলি লোপাট করে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেয়ে বুধবার বন দফতরের কর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর কাঠ উদ্ধার করেন। জলপাইগুড়ির ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আমাদের আভিযোগ জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার তল্লাশি চালানো হয়।” কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরা সম্ভব হয়নি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দশক আগে সার্ক রোডের দু’পাশে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শিশু, সেগুন, আকাশমণি, গামার সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বোনা হয়। সম্প্রতি সার্ক রোড সম্প্রসারণের কাজ শুরু হলে পূর্ত দফতর থেকে পঞ্চায়েত কর্তাদের সড়ক লাগোয়া ২৯৪টি গাছ কেটে নিতে বলা হয়। |
এর পরে পঞ্চায়েত কর্তারা বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বন দফতর গাছগুলি চিহ্নিত করে পঞ্চায়েত কর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলে। গত ৩ অক্টোবর মাধবডাঙ্গা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে গাছ কাটার জন্য দরপত্র ডাকা হয়। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওই সময়ের মধ্যে যে যার মতো গাছ কেটে নিয়ে যেতে শুরু করে। ঘটনার কথা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানো হয়। পঞ্চায়েত প্রধান সুশীল রায় বলেন, “সিদ্ধান্ত ছিল দরপত্র হওয়ার পরে গাছগুলি কেটে নিলাম করা হবে। কিন্তু রাতারাতি প্রায় তিনশো গাছ উধাও হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।” বন দফতরের কর্তারা জানান, জঙ্গল ফাঁকা রেখে রাস্তার এলাকা পাহারা দেওয়া সম্ভব নয় জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তাদের দ্রুত গাছগুলি কেটে নেওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত কর্তারা ব্যবস্থা নিতে দেরি করায় দুষ্কৃতীরা ঝাপিয়ে পড়ে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বন কর্মীরা দুই ট্রাক কাঠ উদ্ধার করেন। গাছ লোপাটের পরে চেরাই করে বিক্রির চেষ্টাও চলছিল। জলপাইগুড়ির ডিএফও বলেন, “সমস্ত কাঠ উদ্ধার করা হবে।” |