ভুয়ো এটিএম কার্ডে ৪ লাখ সাফ
টিএম কার্ডের জন্য কখনও আবেদনই করেননি যে ব্যক্তি, তাঁরই অ্যাকাউন্ট থেকে এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ৪০ দফায় তোলা হল টাকা। অন্য দিকে, এই ঘটনার ১৪ দিনের মাথায় ব্যাঙ্কের একই শাখায় এক প্রধান শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হল প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এ বারেও ব্যবহার করা হয়েছে এটিএম কার্ড।
নগাঁও জেলার ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় আমানত কারচুপির এমন ঘটনা ঘটলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ বা ব্যাঙ্ক। এখন অবধি নয়ছয় হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। ডবকা মডার্ন ইংলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত দেবনাথ জানান, ১ অক্টোবর তিনি ব্যাঙ্কে হাজার তিরিশেক টাকা রাখেন। অ্যাকাউন্টে মোট ৩২ হাজার টাকা ছিল। আজ সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে মোবাইল অ্যালার্টের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, অ্যাকাউন্টে ৭৬৫ টাকা জমা পড়েছে। কোথা থেকে টাকা জমা পড়ল জানতে ব্যাঙ্কে আসেন সুজিতবাবু। ম্যানেজার জানান, নগাঁওয়ের লংকা শাখায় টাকাটি জমা পড়েছে। অবাক সুজিতবাবু পাশবই আপডেট করে চমকে যান। দেখা যায়, তাঁর অ্যাকাউন্টটি শূন্য! ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানাবার পরে, জানানো হয় এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তিন দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তোলা হয়েছে। অথচ তিনি নিজে এটিএম ব্যবহার করেননি। কার্ডও রয়েছে তাঁর কাছেই। ঘটনাটি নিয়ে আজ এফআইআর দায়ের করেন তিনি।
এই শাখায় গত মাসেও একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। মডার্ন স্কুলেরই এক ছাত্রের বাবা, সুজিত ঘোষের অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা ছিল। তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে। ম্যানেজার জানান, দীর্ঘদিন লেনদেন না থাকায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। ফর্ম তুলে ফের টাকা জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলান সুজিতবাবু। তারপরেই মাথায় হাত! দেখেন ৪ জুন তাঁর অ্যাকাউন্টে ডবকা টাউন কমিটির পক্ষ থেকে ১,৮০,০০০ টাকার একটি চেক জমা পড়ে। তখন তাঁর নিজের টাকা ছিল ১,৮১,০৭০। কিন্তু তারপর মোট ৪০ বার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন লক্ষ ৬১ হাজার টাকাই তুলে নেওয়া হয়েছে। সুজিতবাবু জানান, কার্ড ব্যবহার করা তো দূরের কথা, তিনি কার্ডের জন্য আবেদনই করেননি। তাঁর কোনও এটিএওম কার্ড নেই। পাশাপাশি, ডবকা টাউন কমিটি সুজিত বাবুর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ এনেছে। চেয়ারম্যান মীরা দে পুলিশকে জানান, তাঁদের চেক চুরি করে সুজিতবাবুর অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। অথচ সুজিতবাবুর সঙ্গে টাউন কমিটির কোনও যোগাযোগই নেই। এই পরিস্থিতিতে তিনটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের তরফে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গোলমালের কথা মেনে নেওয়া হলেও কী ভাবে ঘটনাগুলি ঘটেছে তা নিয়ে মন্তব্য করা হয়নি। টাকা জমা পড়ার এসএমএস মোবাইলে গেলেও এত বার টাকা তোলা হওয়ার সময় কেন ‘অ্যালার্ট মেসেজ’ যায়নি? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে তারও কোনও উত্তর নেই। ঘটনায় কোনও ব্যাঙ্ককর্মী জড়িত কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.