|
|
|
|
সনিয়ার বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি কেজরিওয়ালের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
রবার্ট বঢরার পর এ বার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নিশানায় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। এবং তাঁর সূত্র ধরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও। কেজরিওয়ালের অভিযোগ, খুরশিদের স্ত্রীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বহু টাকা নয়ছয় করেছে। এই কারণে অবিলম্বে খুরশিদের পদত্যাগ দাবি করেছে তাঁর দল। কেজরিওয়ালের হুমকি, দাবি পূরণ না হলে সনিয়া গাঁধীর বাড়ি ঘেরাও করবেন তাঁরা। রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকেও আজ সরে আসেননি কেজরিওয়াল। হরিয়ানা সরকার আগেই জানিয়েছিল বঢরার সংস্থাকে জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম হয়নি। আজ এই বক্তব্য উড়িয়ে কেজরিওয়াল বলেন, বঢরার সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন একটি সংস্থাকে কেন ওই জমি দেওয়া হল, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
প্রতিবন্ধীদের সাহায্যের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুসি খুরশিদের। লুসিই ওই সংগঠনের প্রধান। সংগঠনটি বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে টাকা সংগ্রহ করে শ্রবণযন্ত্র ও তিন চাকার সাইকেল কিনে দিত প্রতিবন্ধীদের। জানুয়ারি মাসে উত্তরপ্রদেশ সরকার সংগঠনটির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আঁতাঁত করে টাকা নয়ছয় করছে ওই সংগঠন। গত রাতে একটি টিভি চ্যানেলে দাবি করা করা বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে সংগৃহীত অর্থ ঠিকঠাক ভাবে খরচ হয়েছে, এটা প্রমাণ করতে সরকারি আধিকারিকদের সই জাল করেছে সংস্থা। এই অভিযোগকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ শানাচ্ছে কেজরিওয়ালের দল। তাঁর কথায়, “এমন এক আইনমন্ত্রী থাকাটা দুভার্গজনক। ওঁর পদত্যাগ দাবি করছি।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, লুসির বিরুদ্ধে এফআইআর করে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। খুরশিদ-পরিবার অত্যন্ত প্রভাশালী। তাঁরা প্রমাণ নষ্ট করে সাক্ষীদের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। কেজরিওয়ালের মন্তব্য, “উত্তরপ্রদেশ সরকার পদক্ষেপ না করলে কি এটাই প্রমাণ হয় না যে কেন্দ্র এবং মুলায়ম পরস্পরকে সহযোগিতার নীতি নিয়ে চলছেন?” খুরশিদের দাবি, যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করতে অখিলেশ যাদবকে অনুরোধ করেন তাঁর স্ত্রী নিজেই। |
|
|
|
|
|