খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির প্রশ্নে এখনই ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছেন না মায়াবতী।
কাল সমর্থন তোলার বিষয়ে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মায়া। কিন্তু সেটা যে বাস্তবায়িত হওয়ার আশা কম, রাজনীতিকদের অন্দরে তা নিয়ে বিশেষ দ্বিমত ছিল না। কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ কালই দাবি করে, এই মুহূর্তে কেন্দ্র থেকে সমর্থন তোলার সাহস দেখাতে পারবেন না মায়াবতী। আজ বাস্তবে সেটাই ঘটল। মায়াবতী জানিয়ে দিলেন, “সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করা হবে।” এফডিআই নিয়ে দলের অবস্থান কী হবে, সেটা পরে জানানো হবে। মায়া বলেন, “জাতীয় কর্মসমিতি ও সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমার উপর দিয়েছেন। শীঘ্রই এ বিষয়ে মতামত জানাব।” |
এফডিআই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের রাস্তায় হাঁটেনি মায়ার প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টিও। সমর্থন তোলা হবে, এমন ইঙ্গিতও তারা দেয়নি। মায়াবতীও মুখে যাই বলুন, শেষ পর্যন্ত সমর্থন তুলতে পারবেন না, এমনটাই ধরে নিয়েছিল সপা-ও। আজ তাদের অনুমান মিলে যাওয়ায় কাল ও আজকের ঘটনাকে মায়ার নাটক বলেই বর্ণনা করেছে তারা। বিজেপির কাছেও মায়াবতীর এই ঘোষণা অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। কাল মায়াবতীর সভার পরেই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে সঙ্গতিহীন আয়ের মামলা খোলার অনুমতি পেয়েছে। বিজেপির দাবি, এর পর দলিত নেত্রীর পক্ষে কংগ্রেসকে সমর্থন করা ছাড়া অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিল না। বিজেপি শিবির বরং অভিযোগ করেছে, সমর্থন ধরে রাখাতে মায়াবতী এবং মুলায়মের বিরুদ্ধে সিবিআইকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কংগ্রেস। কেন এফডিআইয়ের বিরোধিতা করেও সমর্থন তুলতে পারছে না, মায়া-মুলায়ম দু’জনকেই তার জবাব দিতে হবে বলে বিজেপির দাবি।
রাজনীতির অঙ্কে এমনিতেই এখন মায়ার পক্ষে সমর্থন তোলা কঠিন ছিল। বিধানসভা ভোটে সদ্য হেরে গিয়েছেন তিনি। এখনই কেন্দ্র থেকে সমর্থন তুলে নিলে আরও জমি হারাবে বিএসপি। জনসমর্থন ফিরে পেতেও সময় দরকার। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে এলে সেটা সম্ভব হবে না। যদিও মায়াবতী মুখে বলছেন, “দল লোকসভা নির্বাচনে যেতে ভয় পায় না।” কংগ্রেসের রশিদ আলভি-র উত্তর, “মায়া ইউপিএ-কে সমর্থন করবেন কি না, সেটা তাঁর বিষয়। তবে মায়া সমর্থন তুললেও সরকার পড়ে যাবে না।” |