আলো-আঁধারি রাস্তায় বিপদে পড়ে দুই ছেলেকে নিয়ে মা দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে ট্যাক্সির নম্বর নিয়ে রেখেছিল ১১ বছরের ঋষভ। তার দেওয়া সূত্র ধরেই পুলিশ ধরতে পেরেছে কসবার ট্যাক্সি কাণ্ডের অভিযুক্তদের। এই কাজের জন্য ঋষভকে সাহসিকতার বিশেষ পুরস্কার দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কসবা কানেক্টরে ট্যাক্সি থামিয়ে আলপনা পালের কাছ থেকে টাকা হাতানোর ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্তকেও বুধবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম পার্থ চৌধুরী। বাড়ি সোনারপুরে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালক মহম্মদ সরফরাজকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিন সকালে কসবা থানায় গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন আলপনাদেবী। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, আগেও তারা যাত্রীদের সঙ্গে এই ধরনের জালিয়াতি করেছে। টাকা হাতসাফাই করত পার্থ। রবিবার সন্ধ্যায় তারা দু’জনে মাঝরাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার নাটক করে আলপনাদেবীর কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
তদন্তকারীরা জানান, বন্ধু সরফরাজের ট্যাক্সিতে মাঝেমধ্যেই গাড়ি চালানো শিখত বছর পঁচিশের পার্থ। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, বাইপাস এলাকার বিভিন্ন স্ট্যান্ডের কয়েক জন ট্যাক্সিচালকের সঙ্গেও পার্থের যোগাযোগ আছে। ট্যাক্সিতে খালাসির কাজ করে ওই যুবক। এ দিন সরফরাজকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তাকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।আলপনাদেবী জানান, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দফতর থেকে এ দিন ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঋষভকে নিয়ে তাঁকে ‘জাস্ট ডায়াল ১০০’ নামে পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়েছে। বেহালার বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে ঋষভদের সেখানে নিয়ে যাবে পুলিশ। |