সারা বছরই সমস্যা থাকে। কিন্তু একটি প্রকল্পের সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। বরাহনগর এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে এমনই অভিমত পুর-কর্তৃপক্ষ থেকে বিরোধীদের।
পুরসভার ৩৪টি ওয়ার্ডে বরাহনগর-কামারহাটি জয়েন্ট ওয়াটার ওয়ার্কস, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, কেএমডিএ— এই তিনটি জল-প্রকল্প থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই প্রকল্পগুলি ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। তাই জল সরবরাহের পাইপলাইনগুলি সব নষ্ট হতে বসেছে। সেই কারণে বরাহনগর পুর-এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে সারা বছরই সমস্যা থাকে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
তার উপরে এক মাস ধরে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের জল-প্রকল্পটিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে ২৮, ২৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ, মহারাজা নন্দকুমার রোড, পাটবাড়ি লেন, বিনোদলাল ঘোষ স্ট্রিট, ক্ষেত্রমোহন ব্যানার্জি লেন, কেদারনাথ ব্যানার্জি লেন-সহ বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে প্রায় ২৫-৩০ হাজার বাসিন্দা জল সমস্যায় ভুগছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চাহিদা মতো জলের জোগান নেই। দিনে দু’এক বার জল আসছে। তা-ও পর্যাপ্ত নয়। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বিমল দাস বলেন, “এমনিতেই জলের সমস্যা সারা বছর ধরে চলে। তার মধ্যে এক মাস আগে থেকে চারটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের জল-প্রকল্পের কাজ চলছে। ফলে জল পরিস্রুত করা যাচ্ছে না। তাই সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।”
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জল সরবরাহ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রামকৃষ্ণ পাল বলেন, “ওই পাইপগুলি খুবই পুরনো হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্যা হচ্ছে। পাইপগুলি পাল্টাতেও অনেক খরচ। এখন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের প্রকল্পে ফিল্টার বেড পরিষ্কার করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাবে।”
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফে ওয়ার্কস অ্যাসিস্ট্যান্ট নির্বাচন চক্রবর্তী বলেন, “কিছু মেরামতির কাজ চলছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
কিন্তু বরাহনগরের দীর্ঘ দিনের জল সমস্যা মিটবে কী করে?
রামকৃষ্ণবাবু বলেন, “বরাহনগর জুট মিলের ভিতরে কেএমডিএ একটি জল-প্রকল্পের কাজ করছে। সেটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই জল সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে আশা করি কাজ শেষ হবে।” |