নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
মৎস্যজীবী না হলেও একজন আত্মীয়কে মৎস্যজীবী প্রকল্পের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএম পরিচালিত রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। অবিলম্বে ওই ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া-সহ অন্যান্য দাবিতে বুধবার সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিল রামপুরহাট ১ ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত বন্দোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রহমত আলি খান বলেন, ‘‘প্রকৃত মৎস্যজীবী না হওয়া সত্ত্বেও সভাপতি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের আত্মীয়ের নাম জেলা দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমরা ওই নাম বাতিলের দাবি জানিয়েছি।” এছাড়াও কংগ্রেস নেতৃত্ব অনগ্রসর সম্প্রদায়ের পরিচয় পত্র প্রদান, ব্লক অফিসের বাইরে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছেন।
রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “মৎস্যজীবী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা যাতে অন্য কেউ পেতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বলা হয়েছে।” রামপুরহাট ১ ব্লকের মৎস্য দফতরের আধিকারিক মৃণালকান্তি দাস বলেন, “রাষ্ট্রীয় সম বিকাশ যোজনায় জেলার ৫টি ব্লকের ১ জন করে মৎস্যজীবীকে মৎস্যচাষে সহায়তা করার জন্য ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা। রামপুরহাট ১ ব্লক থেকে যে উপভোক্তার নাম দেওয়া হয়েছে তিনি প্রকৃত মৎস্যজীবী কি না তদন্ত করে দেখা হবে।” অভিযোগ স্বীকার করে রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শুক্লা সেনগুপ্ত বলেন, “ সভাপতি যার নাম পাঠিয়েছেন তিনি প্রকৃত মৎস্যজীবী নন। তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্য জেলাতে কথা বলেছি।” যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সভাপতি রুমকি চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমি প্রথমে জানতাম এই ব্যক্তি মাছের ব্যবসা করেন। পরে যখন জানতে পারি তা সত্য নয় তখম আমিও অনুদান বন্ধ করার চেষ্টা করেছি।” |