নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
এলাকায় লজ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে রামপুরহাট মহকুমার খরুণ পঞ্চায়েতে বুধবার তালা ঝোলাল তৃণমূল। দীর্ঘক্ষণ পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান-সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের তালাবন্দি অবস্থায় রাখার পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত ভবনে প্রধান, উপ-প্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অবশেষে পঞ্চায়েত প্রধান মুচলেকা দিয়ে স্বীকার করে নেন অভিযোগের সত্যতা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খরুণ পঞ্চায়েতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইসির নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, নিতাই লেট, সুকান্ত সরকারদের অভিযোগ, “সিপিএম পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ-সহ ১০০ দিনের কাজ, তফসিলি সম্প্রদায় ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান সর্বত্রই। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই সব দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে পঞ্চায়েতে, ব্লক অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হয়।” |
কিন্তু কোনওটিরই সঠিক তদন্ত হয়নি বলে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ। এরপর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় ‘অবৈধ’ ভাবে লজ নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সর্বদলীয় সভার নামে তৃণমূল নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে টাকার বিনিময়ে লজের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দাবি। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সিপিএমের প্রধান বা উপ-প্রধান কেউই এই সমস্ত অভিযোগের সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই বুধবার বিকেলে পঞ্চায়েত ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের সনাতন মণ্ডল বলেন, “আমরা সর্বদলীয় বৈঠক করে পঞ্চায়েতের যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কাজ করি। নির্মানের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রেও সর্বদলীয় বৈঠক করা হয়েছিল।” কিন্তু আইসির উপস্থিতিতে বৈঠক শেষে পঞ্চায়েত প্রধান গীতা লেট স্বীকার করে নেন দুর্নীতির অভিযোগ। এই নিয়ে সিপিএমের রামপুরহাট ১ জোনাল সম্পাদক আকতাবুসজামান বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |