ডাকঘরে ভাঙচুরের অভিযোগে দুর্গাপুরের এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিকেল ৪টের পরে বর্ধমানের মুখ্য ডাকঘরের কাউন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতের নাম চিরঞ্জিত ধীবর। আপাতত তাঁকে থানার লকআপে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।” |
নিয়ম অনুযায়ী, বিকেল ৪টের পরে স্ট্যাম্প বিক্রির কাউন্টার ছাড়া মুখ্য ডাকঘরের সমস্ত কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়। শুধু স্ট্যাম্প বিক্রির কাউন্টারটি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। কিন্তু এ দিন ৪টেয় কাউন্টার বন্ধের পরে গোলমাল বাধে। পোষ্টাল অর্ডার জমা দেওয়া-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য প্রায় ২৫-৩০ জন তখনও দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের ফিরে যেতে বলা হয়। তখনই দুর্গাপুর থেকে আসা ওই যুবক হেলমেট দিয়ে স্ট্যাম্প কাউন্টারের কাচ ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। স্ট্যাম্প ভেন্ডার চঞ্চল দাসের হাতে কাচের টুকরো বেঁধে। সহকর্মীরা তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। |
মুখ্য ডাকঘরের অন্যতম কর্মী অনিমেষ নিয়োগীর অভিযোগ, “বিকেল ৪টের পরে ওই যুবক লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু আর পোষ্টাল অর্ডার মিলবে না এবং তা জমাও দেওয়া যাবে না শুনে তিনি উত্তেজিত হয়ে অন্যদের কাউন্টার ভাঙচুর করতে বলেন। কেউ রাজি না হওয়ায় বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি হেলমেট দিয়ে স্ট্যাম্প কাউন্টারের কাচ ভেঙে দেন।” সিনিয়র পোস্টমাস্টার এস কে গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিকেল ৪টের পরে আমাদের কম্পিউটারের লিঙ্ক চলে যায়। সে কথা বুঝিয়ে বলা সত্ত্বেও যুবকটি কাউন্টারের কাচ ভেঙে দেন। তাতে আমাদের এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার পরেই পুলিশ ডেকে যুবকটিকে ধরিয়ে দিয়েছি।”
|