ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। হাতে আর মোটে একটা সপ্তাহ। শপিংও প্রায় শেষের মুখে। কিন্তু অফিস-বাড়ি সামলে যে চোখের কোণে যে বলিরেখা পড়েছে, তার কী হবে? সাজ তো পুরো মাটি!
হতাশ হলে চলবে না। বিউশিয়ানের পরামর্শ মতো একটু রূপচর্চা আর কিছু সহজ নিয়ম মেনে এই কটা দিন চললেই কেল্লাফতে!
বিউটিশিয়ানরা জানাচ্ছেন, এখনও সময় আছে। লেগে পরলেই ফল মিলবে। সময় বাঁচিয়ে যদি ১০ মিনিটও ফ্রি-হ্যান্ড এক্সসারসাইজ করে নেওয়া যায়, লাভ মিলবে তাতেই। এমনটাই জানালেন যোগাসন শিক্ষকেরা। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েক বার নিয়ম করে পার্লারে যেতে হবে। সময় যেহেতু বেশি নেই তাই বাকিটা বাড়িতেই সেরে ফেলতে হবে। |
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকার এক বিউটিশিয়ান বলেন, নিজের ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী মেটালিক, রবার জাতীয় ফেসিয়াল করতে পারলে ভাল হয়। গোল্ড, মুক্তো, প্ল্যাটিনাম হল মেটালিক বা জুয়েল ফেসিয়াল। যাঁদের বলিরেখা পরে গিয়েছে, তাঁরা রবার ফেসিয়াল করাতে পারেন। পুজোর আগে পেডিকিওয়র, ম্যানিকিওর আর বডি স্পা অন্তত এক বার তো অবশ্যই প্রয়োজন।
ওই বিউটিশিয়ানের কথায়, দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলে যে হারে দূষণ বাড়ছে, তাতে প্রতিদিনই সকলের ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। যেমন ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চরাইজিং। এই তিন মন্ত্র মনে রাখলেই মুশকিল আসান।
তিনি আরও বললেন, এখন একটি প্রধান সমস্যা অতিরিক্ত মেদ ও বেশি পরিমাণে মাথার চুল উঠে যাওয়া। খালি পেটে এক কাপ ফুটন্ত জলে এক চামচ দারচিনি ফুটিয়ে কাপে ছেঁকে নিয়ে এক চামচ মধু দিয়ে খেতে হবে। এছাড়াও তিনি জানান, আতপ চাল, মুসুর ডাল, মধু আর দুধ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে গায়ে লাগালেই ঘরে বসেই ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
দূষণ শুধু যে ত্বকের ক্ষতি করে তাই নয়। চুলও সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চুল হয়ে যায় শুষ্ক, রুক্ষ্ম। পুজোর আগে চটজলদি চুলে প্রাণ ফেরাতে অবশ্যই যেতে হবে বিউটি ক্লিনিকে। এখানে চুলের ধরন দেখে করা হয় ট্রিটমেন্ট, স্পা। যারা চুলে কালার করেন তাদের জন্য রয়েছে কালার স্পা। এমনটাই জানালেন দুর্গাপুরের সেপকো এলাকার এক বিউটিশিয়ান।এখানেই শেষ নয়, চুল যাতে বহুদিন পর্যন্ত ভাল থাকে তার জন্য রয়েছে বিশেষ হেয়ার টনিকও। বৃষ্টির সঙ্গেই শুরু চুল ওঠা ও খুসকির সমস্যাও। নিমেষেই এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যেতে পারে ওজোন ট্রিটমেন্টের সাহায্যে।
অফিস-কলেজ আর ঘর সামলানোর ফাঁকে শুধু নিজের জন্য বের করে নিতে হবে একটু সময়। পুজোর মণ্ডপে চোখ ফেরাবে কার সাধ্য? |