জমির অভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়ার কাজ থমকে রয়েছে। বাম আমলে পরিকাঠামো তৈরি না করে এই জেলায় দেদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলায় প্রায় ৭০ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর নেই। কোথাও ভাড়া বাড়িতে, কোথাও গাছতলায় কেন্দ্র চালাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন কর্মীরা। সম্প্রতি বালুরঘাট সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্যার কথা শোনার পর বুনিয়াদপুরের জনসভায় মানুষের কাছে জমি দান করার আবেদন করেন। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জমি দিলে চাকরির ক্ষেত্রে ওই পরিবারের অগ্রাধিকার-সহ নানা প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরেও এক জন জমিদাতা এগিয়ে আসেননি বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। জেলার সমাজকল্যাণ আধিকারিক কমলেশ বিশ্বাস বলেন, “বেশিরভাগ কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি না থাকায় সমস্যা রয়েছে। অঙ্গনওয়ারি বাড়ি তৈরির টাকার অভাব নেই। কিন্তু জমি পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” দক্ষিণ দিনাজপুর মজেলায় ৩,২৭৯ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বাম আমলে পরিকাঠামো ছাড়াও দেদার কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে ৩,২৩১টি কেন্দ্র। নিজস্ব ঘরবাড়ি রয়েছে মাত্র ১,১২৫টি কেন্দ্রের। কেন্দ্রে বাকি ২,১০৬টি কেন্দ্র চলছে ভাড়া বাড়ি, কারও বাড়ির খোলা জায়গায়। ৪৮টি কেন্দ্র চলছে এলাকার মাঠে কিংবা গাছ তলায় জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী জানান, সরকারি খাস জমি এবং প্রাথমিক স্কুলের জমিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৫০টি কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। সদিচ্ছার মনোভাব নিয়ে জমিদানে তেমন সাড়া মিলছে না। |