আগে রায়গঞ্জ না কল্যাণী, চলছেই এইমস নিয়ে তরজা |
আগে রায়গঞ্জ পরে কল্যাণীরাজ্যে এইমস গড়া নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস বনাম রাজ্য সরকার, তরজা অব্যাহত।
মঙ্গলবার, সেই তালিকায় নয়া সংযোজন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাসমুন্সির হুঁশিয়ারি, “রায়গঞ্জেই প্রথম এইমস গড়তে কেউ বাধা দিলে কংগ্রেস তার শেষ দেখে ছাড়বে।”
মালদহের চাঁচলের জনসভা থেকে দীপার ওই হুমকি যে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশে, তা স্পষ্ট। সোমবার, মালদহে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে সুব্রতবাবু জানিয়ে ছিলেন, রায়গঞ্জে এইমস গড়ার প্রশ্নে তাঁদের আপত্তি নেই। মন্ত্রীর দাবি ছিল, “কল্যাণীতে যেহেতু জমি প্রস্তুত রয়েছে তাই আগে সেখানেই এইমস গড়া হবে।”
শুধু দীপা নন, এ দিন চাঁচলের জনসভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও প্রায় একই সুরে বলেন, “এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল প্রথমে রায়গঞ্জে করতে হবে। তার পরে শুধু কল্যাণী কেন, রাজ্যের অন্যত্র ওই ধরনের হাসপাতাল গড়ার কথা ভাবা হোক। আমরাও সহযোগিতা করব।”
কংগ্রেসের কড়া ‘বার্তা’ এ দিন দুপুরে শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে বসে জানতে পারেন সুব্রতবাবু। তাঁর পাল্টা জবাব, “এইমস গড়তে ১৫০ থেকে ২০০ একর জমি প্রয়োজন। কল্যাণীতে তা আছে। রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও। সেখানে রায়গঞ্জে ২০ একরের বেশি অকৃষি জমি পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তো আর জোর করে কৃষি-জমি অধিগ্রহণ করতে দেব না!” তবে কংগ্রেসকে পাল্টা সতর্ক করে পঞ্চায়েতমন্ত্রী এ দিন বলেন, “দু’টি এইমস হলে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই। তবে, প্রকল্পটি ফিরে গেলে তার দায় কংগ্রেসকে নিতে হবে।”
রায়গঞ্জের সাংসদ দীপাদেবী অবশ্য দাবি করেছেন, রায়গঞ্জের পানিশালায় এইমস গড়তে যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে চাষিরাই স্বেচ্ছায় জমি দিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “জবরদস্তির প্রশ্ন নেই। তা সত্ত্বেও জমি অধিগ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে বিষয়টি গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” |