নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পুজোর পরেই ফুলবাড়ি জল প্রকল্পের কাজ শুরুর আশ্বাস দিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের মন্ত্রী, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। এদিন মন্ত্রী জানান, দার্জিলিং জেলার তিনটি জল প্রকল্পের কাজ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে যে প্রকল্পের মাধ্যমে পুরসভা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয় বলে তিনি জানান। পুজোর পরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকায় নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু কর হবে বলে মন্ত্রী জানান। এদিন ওই ফুলবাড়িতে যান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওই প্রকল্প পুরনো এবং বাস্তবসম্মত নয়। গজলডোবা থেকে জল নিয়ে ফুলবাড়ির মাধ্যমে তা সরবরাহ করার প্রকল্পের কাজ করা হবে। তা হলে শহরের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মানুষদেরও জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।” এ ছাড়া দার্জিলিংয়ে বালাসন পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শেষ বলে তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, পাইপ লাইনের জন্য দার্জিলিং পুরসভাকে ৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পাইপ লাইনের কাজ শেষ হলে দার্জিলিং শহরে পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হবে। ভূমিকম্পের জন্য কালিম্পংয়ের নেওড়াখোলার পানীয় জল প্রকল্পের ক্ষতি হয়েছে। তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রী দাবি করেন। এ ছাড়া কার্শিয়াংয়েও একটি পানীয় জলের প্রকল্পের ব্যপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, “বৈঠকে পাহাড়ের বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন। পাহাড়-সমতল সমস্ত মন্ত্রী, বিধায়কদের কাছে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। কোথায় কি অসুবিধে রয়েছে তা প্রস্তাব আকারে চাওয়া হয়েছে। বড় বড় প্রকল্পের সঙ্গে কিছু ছোট প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।” এদিন বামপন্থী কোনও বিধায়ক মন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। সে ব্যপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, “পুরনো কিছু অভিজ্ঞতার জন্য তাঁদের ডাকা হয়নি। এর মধ্যে কোনও সঙ্কীর্ণ মানসিকতা নেই। বাম ও ডান দুই পক্ষের বিধায়করা একসঙ্গে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকলে রাজনৈতিক তরজায় চলে যায়। এ জন্য দু’পক্ষকে আলাদা আলাদা ডাকা হচ্ছে। পুজোর আগে বাম বিধায়কদের সঙ্গে মিটিং করব।” চা বাগানের শ্রমিকরা পঞ্চায়েতের সুযোগ-সুবিধে না পাওয়ার অভিযোগে মন্ত্রী বলেন, “চা বাগানের বাসিন্দারা গত সরকারের সময় ব্রাত্য হয়ে ছিলেন। আমরা আশার পরে তাঁদের পঞ্চায়েতের অন্তর্ভূক্ত করেছি। তাঁরা যাতে সুযোগ-সুবিধে পান তা দেখা হবে।” পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসার পক্ষেও সওয়াল করেন সুব্রতবাবু। তিনি বলেন, “২০০৮ সালে গরমের সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক লোকের মৃত্যু হয়েছিল। বৃষ্টির সময় সমস্যা হয়েছিল। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী শীতকালে পঞ্চায়েত ভোটের কথা বলেছিলেন। এর পিছনে অন্য কোনও ব্যপার নেই। নির্বাচন কমিশন যা বলবেন সেই হিসেবেই ভোট হবে।” এদিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, গৌতম দেব, বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের জেলা সভাপতি নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কয়েকটি জল প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। |