টুকরো খবর
আগমনীর সুরে শুরু পঞ্চকোটের পুজো
ছবি: সুজিত মাহাতো।
আগমনীর সুরে মঙ্গলবার থেকেই পুজো শুরু হল পুরুলিয়ার পঞ্চকোট রাজপরিবারে। প্রথা মেনে এই রাজবংশে প্রতি বছরই জিতাষ্টমীর পরের দিন অর্থাৎ কৃষ্ণা নবমীর আর্দ্রা নক্ষত্রে এই পুজো শুরু হয়। কথিত আছে, এই রাজবংশের হাত ধরেই মানভূমে দুর্গাপুজোর প্রচলন হয় (বর্তমান পুরুলিয়া সেই মানভূমেরই অংশ)। এই রাজবংশের উত্তরপুরুষ সোমেশ্বর লালসিংহ দেও জানান, পরম্পরা মেনেই এ দিনের পুজোর অন্যতম মূল উপচার ছিল পঞ্চকোট রাজঘরানার আগমনী গান। পুজোর সেবাইত জগদানন্দ প্রসাদসিংহ দেও-র কথায়, “সাবেক প্রথা মেনে এদিনও পুজোর পরে মঙ্গলারতির সময় দেবী বাড়িতে শিল্পীরা মায়ের কাছে এই গান উৎসর্গ করেন।” কালের প্রবাহে আগেকার সেই জৌলুস অনেকটাই ফিকে হয়ে এলেও আপন গরিমায় রয়ে গিয়েছে আগমনীর গানগুলি।

তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে মিলল সিলিন্ডার
রান্নার গ্যাস নিয়ে কালোবাজারি--এই অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রঘুনাথপুর মহকুমাশাসকের নির্দেশে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালালেন ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট জিগীষেন্দ্র সিংহ। উদ্ধার হয়েছে ১৩টি গ্যাস সিলিন্ডার। তার মধ্যে শহরের ভোন্দুর মোড় এলাকায় তৃণমূল কর্মী বিজয় মোহান্তর বাড়ি থেকে ১১টি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। বিজয়বাবুর স্ত্রী সাধনাদেবী রঘুনাথপুর পুরসভায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর। বাকি দু’টি সিলিন্ডার অমল মাজি নামে এক গ্যাস ওভেন সারাইয়ের দোকান থেকে উদ্ধার হয়। মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস বলেন, “অবৈধ ভাবে কেউ নিজের বাড়ি বা দোকানে রান্নার গ্যাস মজুত করে রাখতে পারেন না। পুলিশকে এ বিষয়ে মামলা রুজু করতে বলা হয়েছে।” যদিও তৃমমূল কর্মী বিজয়বাবুর দাবি, “যে ব্যক্তি গ্রাহকদের কাছে গ্যাস পৌঁছে দেন তিনি সিলিন্ডারগুলি আমার বাড়িতে রেখেছিলেন। গ্যাস সিলিন্ডারগুলি গ্রাহকদেরই। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।”

বাংলাদেশের বালিকা উদ্ধার
আত্মীয়দের সঙ্গ হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের এক বালিকাকে পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমে পাঠাল রাজস্থান পুলিশ। গত শুক্রবার কাইজার নামে বছর বারোর এই বালিকাকে রাজস্থানের অজমেঢ় থেকে তাকে পুরুলিয়ায় নিয়ে আসা হয়। জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য শ্রীকান্ত গরাঁই জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর অজমেঢ় পুলিশ এই বালিকাকে ওখানে খুঁজে পায়। সে একাই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে ঘোরাফেরা করছিল। প্রথমে তাকে অজমেঢ়েরই লোহাগল হোমে রাখা হয়। সে জানিয়েছে, চট্টগ্রাম জেলার সকড়িয়াতে তার বাড়ি। তার বাবার ব্যবসা আছে। মায়ের এক আত্মীয়ের সঙ্গে এসেছিল। বাংলা শুনে অজমেঢ় পুলিশ পুরুলিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। আনন্দমঠ হোমের সুপার ডালিয়া আচার্য বলেন, “আমরা বাংলাদেশে যোগাযোগ করে ওকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।”

পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ
এলাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি ও দলবাজির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ইঁদপুর ব্লকের ব্রহ্মণডিহা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধানকে আটকে তালা দিল তৃণমূল। এ দিন দুপুর ১টা থেকে আধঘন্টা তালা দিয়ে রাখা হয়। প্রধান আলোচনায় ডাকার পরে তালা খুলে দেওয়া হয় এবং দলের তরফে প্রধানের কাছে ৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ইঁদপুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি অসীম পাঠকের অভিযোগ, “সিপিএম পরিচালিত এই পঞ্চায়েত এলাকায় আমবাগান তৈরির কাজে বরাদ্দ ৬ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। ত্রাণের ২৭ কুইন্টাল চাল বিলি-সহ বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি হয়েছে। বেছে বেছে সিপিএমের লোকেদেরকে কাজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।” তাঁক দাবি, “এদিন আমরা প্রধানের কাছে এসবের হিসেব চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান এসব নিয়ে কোনও আলোচনা করতে রাজি না হওয়ায় পঞ্চায়েতে তালা দেওয়া হয়।” অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান, সিপিএমের বরেন পাত্র। তাঁর পাল্টা দাবি, “সরকারি নিয়ম মেনে সব কাজ করা হচ্ছে। দুর্নীতি বা দলবাজির অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূল রাজনৈতিক কারণেই এসব অপপ্রচার করছে।”

বালক উদ্ধার
বিহারের এক বালককে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি সাঁতুড়ি থানার। মঙ্গলবার বেইজু মুখিয়া নামে ওই বালককে মুরাডি বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখে বাসিন্দারা তাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যান। পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে ওই বালককে তুলে দেওয়া হয়। আপাতত সে আদ্রায় ওই সংস্থার হোমে রয়েছে। পুলিশ জানায়, বিহারের সিতামারি জেলার ফুপরি গ্রামের ওই বালক সম্প্রতি তার এক আত্মীয়র সঙ্গে নয়াদিল্লিতে একটি হোটেলে কাজের জন্য গিয়েছিল। ভাল না লাগায় ট্রাকে করে সে পালায়। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা মন্টু মাহাতো বলেন, “ফুপরি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি।”

ভোল্টেজের সমস্যা, ক্ষোভ
এক বছর ধরে একটি পাড়ার অন্তত ৮০টি ঘরে লো-ভোল্টেজ হয়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এর ফলে মানবাজার থানার চেপুয়া গ্রামের মাহান্তী পাড়ায় ৮০ জন গ্রাহক সমস্যায় পড়েছেন। বাসিন্দা দয়াময় মাহান্তী, কমলাকান্ত মাহান্তী, বংশীধর কালিন্দীরা বলেন, “কার্যত গোটা পাড়া অন্ধকার থাকে। এক বছর ধরে স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়ে আসছি।” বিদ্যুৎ দফতরের মানবাজারের স্টেশন সুপারিন্টেডেন্ট মারুতি মাহাতো বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সমস্যা আছে। আশা করছি পুজোর আগে মিটে যাবে।”

স্মারকলিপি
কেন্দ্র সরকারের নয়া পেনশন নীতি বাতিল, রেলের স্থানীয় সমস্যা মেটানো-সহ নানা দাবিতে মঙ্গলবার আদ্রার ডিআরএমের কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশন করল রেলকর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়ন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.