|
|
|
|
চুরি ঠেকাতে ব্যর্থ প্রশাসন, অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
চুরি যেন রামপুরহাট শহরের নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও জনবহুল এলাকা থেকে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় মোটরবাইক চুরি, আবার কখনও রাতের অন্ধকারে বাড়িতে, মন্দিরে চুরি। কখনওবা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ল্যাপটপ চুরি। এক মাসের মধ্যে সব মিলিয়ে রামপুরহাট শহরে দশটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। রামপুহাট মহকুমা এলাকার মাড়গ্রাম থানার হাঁসন গ্রামে সম্প্রতি গোপাল মন্দিরের বহুমূল্যবান কষ্ঠিপাথরের বিগ্রহ চুরির ঘটনাকে যোগ করলে তালিকা আরও দীর্ঘ হবে। কোনও ঘটনাতেই পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি। পাশাপাশি চুরি যাওয়া সম্পত্তিও উদ্ধার করতে পারেনি। অন্য দিকে, এলাকার তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের রামপুরহাটের কার্যালয়ে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্টের বিশেষ দল তদন্ত চালাচ্ছে। তাতে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, শতাব্দী রায়ের কম্পিউটার চুরির তদন্তে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সিআইডির দল ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষের চুরির ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না। অথচ চুরির ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাস বলেন, “রামপুরহাটে একের পর এক চুরির ঘটনায় আমরাও উদ্বিগ্ন। শহর জুড়ে চুরি প্রতিরোধে ওয়ার্ড ভিত্তিক পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র খোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেখানে একজন করে পুলিশ অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। স্থানীয় স্তরে স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের নিয়োগ করা হবে।” গত সোমবারও রামপুরহাট পুরসভার ১২নং ওয়ার্ডে গৃহকর্তার অনুপস্থিতিতে গ্রিল ভেঙে গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। কিনারা হয়নি সে ঘটনারও। এদিকে সম্প্রতি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটল। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধিকর্তা মহম্মদ নাসিরুদ্দিনের ক্ষোভ, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে স্থানীয় থানার পুলিশ শতাব্দী রায়ের কার্যালয়ে কম্পিউটার চুরির ঘটনার তদন্তেই ব্যস্ত। অথচ সাধারণ চুরির ঘটনায় তাঁদের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।” তাঁর প্রশ্ন, পুলিশ কি কেবলমাত্র ভিআইপিদের জন্য? উৎসবের মরশুমে এই ‘অবাধ’ চুরির ঘটনায় ত্রস্ত এলাকাবাসী। |
|
|
|
|
|