|
|
|
|
বিশ্বভারতী |
ছাত্রীর অভিযোগ, ডিন পদ থেকে সরানো হল অধ্যাপককে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
বিশ্বভারতীর কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের এক প্রাক্তন ছাত্রী তথা গবেষণা-প্রার্থী তাঁরই বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শরীরিক নিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। মণিপুরের ওই ছাত্রী বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সিদ্ধার্থদেব মুখোপাধ্যায় বিশ্বভারতীরই ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার’।
এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অমৃত সেন মঙ্গলবার বলেন, “অভিযোগ পেয়ে ওই অধ্যাপককে ডিন পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য অভিযোগ বিশ্বভারতীর নির্দিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।” বিশ্বভারতীর কর্মসচিব (রেজিস্ট্রার) মণিমুকুট মিত্রকে আপাতত ওই দায়িত্ব সামলাতে বলা হয়েছে। বারবার চেষ্টা করা হলেও সিদ্ধার্থবাবু এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। আমরা দ্রুত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।”
অভিযোগকারিণী ছাত্রী ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ওই বিভাগ থেকে এমএসসি পাশ করেছেন। এ বছরই বিশ্বভারতীতে পিএইচডি করার জন্য আবেদন করেন। প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘রেট’ (রিসার্চ এলিজিবিলিটি টেস্ট)-এ উত্তীর্ণ হওয়ায় ৬ অক্টোবর তাঁর ইন্টারভিউয়ের দিন পড়ে। লিখিত অভিযোগ পত্রে ওই ছাত্রীর দাবি, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ১০ নাগাদ সিদ্ধার্থবাবু তাঁর কাছে থাকা পেন-ড্রাইভে থাকা তথ্য দিয়ে যেতে বলেন। ওই সন্ধ্যাতেই শ্রীনিকেতনে নিজের অফিসে অধ্যাপক তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টা করেন।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, উপাচার্যকে অভিযোগপত্র জমা দিয়ে ছাত্রীটি মণিপুরে ফিরে গিয়েছেন। পিএইচডি ইন্টারভিউয়ে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্তও নেন। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমি আর এখানকার পিএইচডিতে যোগ দিতে চাই না। কারণ, আমার কাছে বেশি দামি নিজের সম্মান।”
এ দিনই বোলপুরে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার বহির্ভূত। তবে এই জাতীয় কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়।” |
|
|
|
|
|