|
|
|
|
কাকাকে খুনের দায়ে কারাদণ্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
কাকাকে খুনের দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড হল দুই ভাইপো-সহ তিনজনের। মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ গুরুপদ মণ্ডল এই সাজা দিয়েছেন। ১৯৯৫ সালের ২২ মার্চ ময়ূরেশ্বর থানার নামোষাটপলশা গ্রামে সেচের জল যাওয়াকে কেন্দ্র করে বেণীমাধব মণ্ডলকে লাঠি ও লেহার রড দিয়ে মারধর করেন তাঁর দাদা ভগীরথ মণ্ডল ও ছেলে সুনীল, কেষ্ট এবং দূর সম্পর্কের আত্মীয় অনিল মণ্ডল। বেণীমাধববাবুকে সিউড়ি থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। ৩০ মার্চ তিনি মারা যান। সিউড়িতে ভর্তি থাকাকালীন তাঁর স্ত্রী ৪ জনের নামে অভিযোগ করেন। প্রথমে পুলিশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও ইচ্ছাকৃত ভাবে মারধরের মামলা রুজু করে। পরে ইচ্ছাকৃত ভাবে খুনের মামলা রুজু করে। বেণীমাধববাবুর ভাই কার্তিক মণ্ডলের দাবি, “আসামীদের সাজা হচ্ছে না দেখে বৌদি সারথীদেবী দু’বছর আগে আত্মহত্যা করেন। পরে ভাইপো প্রণবও আত্মহত্যা করে।” অন্য দিকে, মামলা চলাকালীন আসামী ভগীরথ মণ্ডল মারা যায়। সরকারী আইনজীবী উৎপল মুখোপাধ্যায় বলেন, “মারধরের ঘটনার কিছুদিন আগে পাশাপাশি দুই পরিবারের জমিতে জল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা হয়। ২১ মার্চ রাতে ভগীরথ ও অন্য আসামীরা বেণীমাধবের ৫ কাঠা আলুর জমিতে জল ভরে দেয়। আলুর জমি ক্ষতি হওয়ায় প্রতিবাদ করলে বেণীমাধবকে মারধর করে আসামীরা। বাঁচাতে গেলে তাঁর আরও দুই দাদা এবং এক ভাইঝিকে মারধর করে আসামীরা। পরে বাড়ি ফেরার সময়ে আসামীরা রামনগর-সাঁইথিয়া সড়কে লাঠি ও রড দিয়ে ধাওয়া করে তাঁকে মারধর করে।” এ দিন তাদের ১০ বছর, ৩২৪ ও ৩২৫ ধারায় এক বছর করে এবং ৩২৩ ধারায় তিন মাস কারাদণ্ড হয়। সব সাজা এক সঙ্গে চলবে। |
|
|
|
|
|