খুনের হুমকি পেয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন ফেডেরার |
টেনিস কোর্টে যাঁর মসৃণতার সঙ্গে রোলস রয়েস গাড়ির তুলনা হয়, সেই ফেডেরারও তা হলে ঘাবড়ে যান! অবশ্য ঘাবড়ে যাওয়ার মতোই ঘটনা। মেরে ফেলার হুমকি তো তিনি আর রোজ রোজ পান না!
বেনামী হুমকি পাওয়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন রজার ফেডেরার। এবং বললেন, পুরো ব্যাপারটায় বেশ বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হুমকির কথা মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার দিন সাতেক আগেই ব্যাপারটার কথা জানতে পারেন ফেডেরার। তবে পুরো ব্যাপারটা বিশ্বের প্রচারমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সাংহাই মাস্টার্সে নামার আগে তাঁর ফোকাস যে খানিকটা নড়ে গিয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। “নিঃসন্দেহে এই ব্যাপারটা আমার ফোকাস কিছুটা নষ্ট করছে। প্রায় কিংকতর্ব্যবিমূঢ় অবস্থা! কিন্তু চারপাশে কী হচ্ছে না হচ্ছে সে ব্যাপারে তো ওয়াকিবহাল থাকতেই হবে। একেই বোধহয় বলে খ্যাতির বিড়ম্বনা!” এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন ফেডেরার।
|
নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনীতে রজার ফেডেরার। মঙ্গলবার সাংহাইয়ে। ছবি: এএফপি |
ফেডেরারের স্ত্রী মির্কা এবং তাঁর যমজ মেয়েদেরও আসার কথা ছিল চিনে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা না আসায় জল্পনা শুরু হয়ে যায় যে মৃত্যু-হুমকিই এর কারণ। টেনিস-সম্রাট অবশ্য সে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, এটা একেবারেই তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। “আমি নিজেও শেষ মুহূর্তে ঠিক করি সাংহাই মাস্টার্সে খেলব।” গত দু’বছর এই টুর্নামেন্টে খেলেননি ফেডেরার।
টেনিসমহলের আশা, কোর্টে একবার নেমে পড়লে হুমকি নিয়ে আর মাথাব্যথা থাকবে না ফেডেরারের। টুর্নামেন্টটা তাঁর পক্ষে বেশ সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত প্রথম দশ বাছাইয়ের কারও সামনেই পড়তে হবে না তাঁকে। তবে সেমিফাইনালে অ্যান্ডি মারের সামনে পড়তে পারেন। যাঁকে হারিয়ে এ বছর উইম্বলডন জিতেছেন ফেডেরার, কিন্তু উইম্বলডনেই অলিম্পিক ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন। |