আফ্রিকান সাফারি
কুচকাওয়াজে না গিয়ে নতুন বিতর্কে ধোনি
সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হওয়া সত্ত্বেও টেরিটোরিয়াল আর্মির বার্ষিক কুচকাওয়াজে গেলেন না ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অনুপস্থিত ছিলেন বেজিং অলিম্পিক সোনাজয়ী শুটার অভিনব বিন্দ্রাও। এবং এই ঘটনা জন্ম দিল এক নয়া বিতর্কিত প্রশ্নের এমন বিখ্যাত ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর সাম্মানিক পদ দেওয়া কি উচিত?
প্রশ্নটা তুলেছেন খোদ বিমানবাহিনীর কর্তারা, যাঁদের যুদ্ধবিমানে উড়েছেন ধোনি, সচিন তেন্ডুলকরের মতো মহাতারকা ক্রিকেটাররা। শুধু ক্রিকেট কেন, দেশের সেরা ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়ালও সম্প্রতি ভারতীয় বিমানবাহিনীর উড়ানে সওয়ার হয়েছেন। সম্প্রতি তেন্ডুলকর ও ধোনিকে তাঁরা ফের যুদ্ধবিমানে ওড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি দুই তারকা ক্রিকেটারই। এতেও চটেছেন বিমানবাহিনীর কর্তারা। এ বার তাঁরাই ফতোয়া জারি করেছেন, আর কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে যুদ্ধবিমান উড়বে না। কারণ, যুদ্ধবিমান এখন মোটেই সহজলভ্য নয়। তার অনেক কাজ রয়েছে।
মিশন দক্ষিণ আফ্রিকা। রাঁচি বিমানবন্দরে সস্ত্রীক ধোনি। ছবি: পিটিআই
ধোনিকে গত বছর নভেম্বরে সাম্মানিক পদ দিয়েছিল টেরিটোরিয়াল আর্মি। সচিনকে তারও আগে ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে সাম্মানিক গ্রুপ ক্যাপ্টেনের পদ দেয় বিমানবাহিনী। ২০০৮-এ ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক কপিলদেবকেও সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেলের সম্মানে ভূষিত করে টেরিটোরিয়াল আর্মি। ক্রিকেট তারকারা সেনাবাহিনীর এই সব সাম্মানিক পদ পাওয়া সত্ত্বেও নিজেদের সেনা কার্যকলাপের সঙ্গে কতটা যুক্ত রাখেন, সেই নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। কারণ মালয়ালম চিত্রতারকা মোহনলাল বা কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সচিন পাইলট কিন্তু সেনাবাহিনী থেকে সাম্মানিক পদ পাওয়ার পরে যথেষ্ট উৎসাহ নিয়েই সেনাবাহিনীর কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখার চেষ্টা করেন বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্থনি।
ধোনি না এলেও কপিল অবশ্য এ বারের বার্ষিক কুচকাওয়াজে এসেছিলেন। সেখানে অপর দুই ক্রিকেটারের পক্ষে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনীর কার্যকলাপের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে রাখা উচিত, এটা ঠিকই। ওরা (ধোনি, সচিন) সময় পেলে নিশ্চয়ই তা করবে। আসলে ওরা নিজেদের জগতে এতটাই ব্যস্ত থাকে যে, সব সময় এখানে আসা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আমার মনে হয় ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ওরা অনেক বেশি সময় দেবে এখানে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রীর যুক্তিটা আবার অন্য। “তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধোনি-সচিনের প্রভাব যথেষ্ট বলেই ক্রিকেট তারকাদের সেনাবাহিনীতে সাম্মানিক পদ দিয়ে নিয়ে আসা। তবে যুদ্ধবিমানে ওড়ার ব্যাপারে বাছাই করার একটা ব্যাপার থাকে বই কী।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.