পুলিশি ঝামেলায় সুব্রতরা, ক্রীড়ামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রেহাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আই লিগে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন প্রয়াগ গোলরক্ষক সুব্রত পাল। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, ঝামেলা পাকানোর অভিযোগে সুব্রত ও তাঁর শ্বশুর প্রাক্তন জাতীয় গোলরক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে ক্রীড়ামন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।
সুব্রত জানিয়েছেন, এদিন সন্ধেবেলা স্ত্রী দেবস্মিতাকে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। মন্দির প্রাঙ্গনে দেবস্মিতার ধূপ দেখানো নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা আপত্তি করলে বচসার সূত্রপাত। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, লাইনে দাঁড়ানো অন্য পুণ্যার্থীরা আপত্তি জানালে প্রথমে তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তারপরে মন্দিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দেশের এক নম্বর গোলরক্ষক। সুব্রতর অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
এরপরেই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শ্বশুর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়কে ফোন করেন সুব্রত। মেয়ে-জামাইয়ের হেনস্থার খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থেকে ছুটে আসেন দেবাশিসবাবু। কেন এই ঘটনা তা নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে জানতে চান তিনি। দেবস্মিতা জানিয়েছেন, হঠাৎই স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির এক অফিসার কলার ধরে টানতে টানতে দেবাশিসবাবুকে লকআপে ঢুকিয়ে দেন। ‘মদ্যপ’ বলে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করা হয় গোলরক্ষক শ্বশুর-জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এরপরেই ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রকে ফোনে যোগাযোগ করেন সুব্রত। পরে ক্রীড়ামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, দেবাশিসবাবু কিছু লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় ফাঁড়িতে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছিলেন। তাই তাঁদের লকআপে রাখা হয়েছিল। সুব্রত এবং তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্দিরের নিরাপত্তাকর্মীরা। তার ভিত্তিতেই ঝামেলা পাকানোর জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। |