|
|
|
|
দল ছাড়লেন চার বিধায়ক, অরুণাচলে ধস নামল তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ইউপিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই অরুণাচলপ্রদেশে ধসে পড়ল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের ৫ বিধায়কের ৪ জনই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কার্যত মুছে গেল এনসিপি-ও। ৫ বিধায়কের সকলেই কংগ্রেসে ভিড়লেন। এর এখন ৬০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক-সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫। বাকি পাঁচ বিধায়কের মধ্যে ৩ জন বিজেপি, এক জন তৃণমূল ও অন্য জন নির্দল।
২০০৯-এর বিধানসভা নির্বাচনে দলের এক ঝাঁক বিধায়ককে টিকিট দেয়নি কংগ্রেস। এঁরাই মূলত মমতার তৃণমূল কংগ্রেস ও শরদ পওয়ারের এনসিপি-র টিকিটে নির্বাচনে লড়ে জেতেন। এর ফলে রাজ্যে ওই দুই দলের কার্যত কোনও সাংগঠনিক ক্ষমতা না থাকলেও বিধানসভায় পাঁচ জন করে সদস্য থেকে যান। এঁরা রাজ্যে কংগ্রেসের বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ইউপিএ জোটের সদস্য বলে নিজেদের পরিচয় দিতেন। কিন্তু খুচরো ব্যবসায়ে এফডিআই-এর বিরোধিতা করে মমতা ইউপিএ ছাড়ায় এঁরা ফাঁপরে পড়ে যান। রাজ্য কংগ্রেসও অতীতের তিক্ততা মুছে এই বিধায়কদের ফেরাতে তৎপর হয়। কয়েক দিন দর কষাকষির পরে তৃণমূলের এক জন ছাড়া মমতা ও শরদের দলের ১০ বিধায়কের সকলেই কংগ্রেসে ফিরে এলেন।
তৃণমূলের চার দলত্যাগী বিধায়ক হলেন পূর্ব সেপার টাপুক টাকু, পশ্চিম সেপার তানি লোফা, চ্যাংতাজোর কারায়া বাগাং ও পূর্ব খোনসার কামথক লোয়াং।
ইউপিএ ছাড়ার পরে মমতা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তাঁর দলের ক্ষমতা প্রদর্শনে বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছেন। দিল্লির পাশাপাশি চণ্ডীগড়-লখনউয়ে সমাবেশ ডেকেছেন। দিল্লির সমাবেশে তৃণমূলের সাংগঠনিক ক্ষমতার পরিচয় দিতে মমতা অরুণাচলে তাঁদের ৫ বিধায়ক থাকার কথাও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের চার জনই দল ছাড়ায় নিশ্চিত ভাবেই ওই রাজ্যে তৃণমূল শিবরাত্রির সলতেয় পরিণত হল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তবে খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারব না।” দলীয় সূত্রে খবর, চার বিধায়ককে এখনও বুঝিয়ে দলে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|