রক্ষকই লুটেরা!
অরবিন্দ সেতুতে গাড়ি থামিয়ে এক ব্যবসায়ীর ৪৩ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মানিকতলা থানার এক অফিসারকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত পুলিশ অফিসারের নাম সুনীল দাস। তিনি ‘ক্রাইম অফিসার’ হিসেবেই মানিকতলা থানায় যুক্ত। ধৃত তাঁর সঙ্গী হিসেবে সেখানকার এক কনস্টেবলকেএ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর নাম জানা যায়নি। এই নিয়ে ওই ঘটনায় ছ’জন ধরা পড়ল।
পুলিশ জানায়, শাহুল হামিদ নামে চেন্নাইয়ের এক ব্যবসায়ী পুরনো তামা-পিতল কেনাবেচা করেন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে জব্বার নামে এক আত্মীয়কে নিয়ে কলকাতায় আসেন তিনি। ওঠেন এন্টালির একটি হোটেলে। নিরঞ্জন নামে চেন্নাইবাসী এক ব্যক্তির মাধ্যমে কলকাতায় দু’জনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। পঙ্কজ ও বাবু নামে নামে ওই দু’জন পুরনো তামা ও পিতলের ব্যবসায়ী এবং শুল্ক বিভাগের ক্লিয়ারিং এজেন্ট বলে নিজেদের পরিচয় দিয়েছিল। সস্তায় পুরনো তামা ও পিতল কেনার জন্য শাহুল ৩০ সেপ্টেম্বর জব্বার, নিরঞ্জন ও পঙ্কজের সঙ্গে ভাড়ার গাড়িতে ডানলপের দিকে রওনা দেন। জব্বারের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগ ও ব্রিফকেসে ৪৩ লক্ষ টাকা ছিল। বেলা ১২টা নাগাদ অরবিন্দ সেতুতে একটি ট্যাক্সি তাঁদের গাড়ির পথ আটকায়। ট্যাক্সি থেকে নেমে তিন যুবক পঙ্কজকে মারতে থাকে। ট্যাক্সি থেকে ব্রিফকেস ছিনিয়ে নেয় তারা। দুষ্কৃতীরা পঙ্কজকে নিয়েই উল্টোডাঙার দিকে পালিয়ে যায়। গোয়েন্দারা শাহুল-জব্বার-নিরঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের ট্যাক্সির নম্বর-সহ বিভিন্ন তথ্য পান। জানতে পারেন, শাহুল প্রথমে এজেন্টদের মাধ্যমে পুরনো তামা-পিতলের কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সুবাদেই ৩০ সেপ্টেম্বর ডানলপ যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পরে জেরা করে এই ঘটনায় এক পুলিশ অফিসারের নাম জানা যায়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক কনস্টেবলও ওই অফিসারের সঙ্গী ছিলেন। পুরনো তামা-পিতলের কারবারিদের সঙ্গে ওই অফিসারের যোগাযোগ ছিল। |