জমি-জট আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় আটকে থাকা জাহাজ-কারখানা প্রকল্প গেঁওখালি থেকে সরে যাচ্ছে কুলপিতে। সব ঠিকঠাক চললে, শীঘ্রই বিষয়টি চূড়ান্ত করবে লগ্নিকারী সংস্থা বেঙ্গল শিপইয়ার্ড। পর্যায়ক্রমে প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা লগ্নি হওয়ার কথা এই প্রকল্পে।
মঙ্গলবার হলদিয়ায় এপিজে সুরেন্দ্র গোষ্ঠীর ‘লজিস্টিক হাবে’র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইয়ের ভারতী শিপইয়ার্ডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুরের বাদু-র গেঁওখালিতে ওই প্রকল্প গড়ার কথা তাদেরই। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীই প্রথম প্রকল্প দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপিতে হওয়ার কথা জানান। এ ব্যাপারে রাজ্যের তরফে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাসও সংস্থাকে দেন তিনি। পরে এপিজে সুরেন্দ্র গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান করণ পল জানান, কুলপিতে ৫৫০ একর জমি নিজেরাই কিনেছেন তাঁরা। তা শিল্পের কাজে ব্যবহারের জন্য রাজ্যের অনুমোদনও মিলেছে। তবে পরিবেশ-সহ একাধিক বিষয় নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রের উপর। |
উল্লেখ্য, বছর চারেক আগে গেঁওখালিতে জাহাজ তৈরি, মেরামতি, পণ্য খালাস ইত্যাদির জন্য ভারতী শিপইয়ার্ডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বেঙ্গল শিপইয়ার্ড তৈরি করে এপিজে সুরেন্দ্র। জাহাজ কারখানা গড়তে সেখানে প্রায় ৫০০ একর জমি তারা রাজ্যের কাছে চেয়েছিল। কিন্তু তখন অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা থাকায় সরাসরি জমি কিনতে বলে রাজ্য। দীর্ঘ দিন আলোচনা চালিয়েও যা সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে আবার পরে যোগ হয় মন্দা ও বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই সব কিছুর ফল হিসেবেই প্রকল্প স্থানান্তরের ভাবনা।
বিশ্ব অর্থনীতির বেহাল দশা এবং দেশের চাহিদা মাথায় রেখে প্রথমে জাহাজ মেরামতির কারখানাই গড়তে চান করণরা। মন্দার জেরে জাহাজের চাহিদা এখন তলানিতে। কিন্তু তাঁর দাবি, এ দেশে জাহাজ মেরামতির তেমন পরিকাঠামো নেই। তাই কুলপিতে মেরামতির পরিকাঠামো গড়াকেই প্রথমে প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা। |