থানায় ঢুকে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগে সোমবার গভীর রাতে কালনার কাঠিগঙ্গা এলাকা থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় এই গণ্ডগোল হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত। তাদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে কালনা শ্মশানঘাটের কাছে দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম হন ধান-চালের ব্যবসায়ী রাজু পাল। গত শনিবার বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজুবাবুকে মারধরের ঘটনায় তাঁর পরিবারের তরফে তিন জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই ঘটনায় আরও পাঁচ জন জড়িত বলে অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে মিঠু রায় ও সুদীপ রায় নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুভঙ্কর সরকার নামে আর এক অভিযুক্ত পলাতক। |
সোমবার পুলিশ এই ঘটনায় গোপাল পাল, শুকদেব সরকার ও খোকন দাস নামে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
ময়না-তদন্তের পরে সোমবার বিকেলে নিহত ব্যবসায়ীর দেহ কালনায় পৌঁছলে অশান্তি শুরু হয়। এই ঘটনার তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে স্থানীয় মানুষজন দেহ নিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখাতে যান। তখনই জনতার একাংশ ইট-পাটকেল ছুড়ে একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। কাঠিগঙ্গা এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ জানায়, কাঠিগঙ্গায় একটি বাড়ি থেকে স্থানীয় মানুষজন একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে লাল্টু সাহা, সুশান্ত পাল, শান্ত পাল, গোপাল মজুমদার ও নেপাল মজুমদার নামে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার কালনা আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ওই ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগে যে তিন জনের নাম ছিল তাদের দু’জনকে ধরা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা কাম্য ছিল না। পরিকল্পনামাফিক থানায় এই হামলা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |