সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার পরে সাত মাস পেরিয়ে গেলেও চেক মেলেনি। প্রতিবাদে মঙ্গলবার মন্তেশ্বর ব্লক অফিসের সামনে অনশনে বসেছেন জামনা পঞ্চায়েত এলাকার ৯টি গ্রামের প্রায় শ’খানেক চাষি। তাঁদের দাবি, ধানের দাম চেয়ে সরকারি নানা দফতরে আবেদন করেও ফল হয়নি। টাকা পাওয়ার ব্যাপারে সরকারি স্তরে লিখিত আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গত ফেব্রুয়ারিতে জামনা সমবায় সমিতি চাষিদের কাছ থেকে ধান নিয়ে তা বিক্রি করেছিল ইসিএসসি-র কাছে। মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, জামনা, সেলে, কুলে, ময়নাপুর, ফজলপুর, কাইমিহি, বরণডালা, মড়াইপিড়ি ও আসুরি গ্রামের চাষিরা প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ধান বিক্রি করেছিল। ৫৭০ জন চাষির মধ্যে ১৩১ জনকে সমবায় সমিতি ধান বিক্রি বাবদ দেড় কোটি টাকা মেটায়। বাকি থেকে যায় আরও দেড় কোটি টাকা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চাঁদু দাস বলেন, “বকেয়া টাকার দাবিতে চাষিরা অনশনে বসেছেন। তাঁরা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত সরকারি আশ্বাস চান।” |
অনশনে বসা চাষি সুকুমার মণ্ডল, সৈয়দ আব্দুল বারিকদের ক্ষোভ, “টাকা না পাওয়ায় সংসার চালাতে গিয়ে বাজারে দেনা হচ্ছে। সামনে দুর্গাপুজো ও ঈদ উৎসব। সব পরিবারেই এখন টাকার প্রয়োজন রয়েছে। ধানের দাম চেয়ে সমবায় মন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী-সহ প্রশাসনের নানা আধিকারিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। বাধ্য হয়েই অনশনে বসেছি।” অনশন চলাকালীন বিডিও টাকা পাওয়ার ব্যাপারে বারবার মৌখিক আশ্বাস দিলেও অনশন ওঠেনি। কালনার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক চিরন্তন প্রামাণিক বলেন, “সরকারি নোডাল এজেন্সি হিসেবে ওই সমিতি থেকে ধান কিনেছিল ইসিএসসি। তারা পুরো টাকা না মেটানোয় বহু চাষি ধানের দাম পাননি। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ামক আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।” চিরন্তনবাবু আরও জানান, ইসিএসসি-র তরফে এক জন প্রতিনিধি শীঘ্র চাষিদের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন। |