|
|
|
|
দুর্ঘটনা কাড়ছে প্রাণ, পানাগড়ে রাস্তা সারাতে দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
বৃষ্টি আর গাড়ির চাপে ভেঙে গিয়েছে পানাগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় সওয়া তিন কিলোমিটার রাস্তা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা নিত্য দিনের বিষয়। পর পর দুর্ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাসিন্দারা। দ্রুত সমাধানের দাবিতে সম্প্রতি হাজারখানেক বাসিন্দার গণসাক্ষর সম্বলিত আর্জি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানাগড়ে জাতীয় সড়কের ওই অংশটুকু কার্যত ‘মরণফাঁদ’। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, ছোটবড় মিলিয়ে মাসে গড়ে ১৫টি দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাণহানিও ঘটে কখনও কখনও। ৩ সেপ্টেম্বর এই রাস্তায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় স্থানীয় চিকিৎসক নবারুণ প্রামাণিকের। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাক্ষর সংগ্রহ করতে শুরু করেন বাসিন্দারা। সম্প্রতি সেই লিখিত দাবি তাঁরা পাঠিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ দাস, চিকিৎসক মানিকলাল সেনের দাবি, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বার বার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। বাধ্য হয়েই আমরা দেশ ও রাজ্যের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।”
বাসিন্দারা জানান, পানাগড় বাজারে যে কোনও কাজে যাওয়া মানে বিপদ ডেকে আনা। বারবার ভাঙা রাস্তার উপর দিয়ে ছুটে চলা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারার ঘটনা ঘটছে। বেশ কিছু কলেজ, স্কুল, ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, গ্রন্থাগারের কর্মী, শিক্ষক, চিকিৎসক, পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষজন ওই রাস্তার উপরে নির্ভরশীল। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। বিশেষ করে বিকেলের পর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা বিভীষিকার সামিল। দ্রুত রাস্তার ওই অংশ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরাও।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের ওই অংশের সংস্কারের জন্য ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সংস্থার পূর্বাঞ্চলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার অজয় অহলুওয়ালিয়া বলেন, “বাইপাস রাস্তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় পানাগড় বাজারের জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব নয়।” কিন্তু অর্থ বরাদ্দ করার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। কিন্তু সংস্কারের কাজ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ শুরু করেননি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কাজটি করতে রাজি হয়েছেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থা (এডিডিএ)। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের দুর্ভোগ দূর করতেই আমরা কাজের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।” এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই একদফা বৈঠক হয়েছে। শীঘ্রই ফের বৈঠক হবে। তাপসবাবুর আশ্বাস, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্র নিয়ে শীঘ্রই কাজ শুরু করবে এডিডিএ।” |
|
|
|
|
|