|
|
|
|
স্কুলভোটে গোলমাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
স্কুল নির্বাচনকে ঘিরে সিপিএম এবং তৃণমূল সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইসলামপুরের সুজালি এলাকা। সোমবার সকাল নাগাদ কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালগছ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দুই দলের সমর্থকরা একে অন্যের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ছোঁড়া হয় বোমা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ইসলামপুর থানার গোমাদিঘি স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়। ছয়টি আসনের মধ্যে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা ৪টি এবং তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ২টি আসন দখল করে। এর আগে পরিচালন সমিতির ৬টি আসন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীদের দখলে ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে সিপিএম সমর্থকরা তাঁদের সমর্থকদের উপরে হামলা চালাতে শুরু করে।
ইসলামপুরের তৃণমূল নেতা জাভেদ আখতার এই প্রসঙ্গে বলেন, “এর আগে ওই স্কুলের প্রতিটি আসন সিপিএমের দখলে ছিল। এ বার আমাদের দু’জন প্রার্থী জয়লাভ করেন। এটাই সিপিএম সহ্য করতে পারেনি। তাই ওরা আমাদের সমর্থকদের উপরে হামলা চালাতে শুরু করে। ঘটনায় দুইজন সমর্থক জখম হয়েছেন।” সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। দলের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে নির্বাচনের পরে তৃণমূল সমর্থকরা তাঁদের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়।
ইসলামপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন গুহনিয়োগী এ দিন বলেন, “রবিবার নির্বাচনের পরে তৃণমূলের সমর্থকরা আমাদের প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনা বেগতিক বুঝে এখন ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তৃণমূলের সমর্থকদের ছোঁড়া বোমায় আমাদের এক সমর্থক জখম হয়েছে। আমরা কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছি।”
দুই দলের তরফে তাঁদের কর্মীরা জখম হওয়ার দাবি করলেও কাউকে হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। পুলিশও স্পষ্ট করে তেমন কিছু জানায়নি। |
|
|
|
|
|