|
|
|
|
ডাক পাননি মন্ত্রী, তৃণমূলের অসন্তোষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের ভবন ও পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দ্বারোঘাটনের অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কংগ্রেস বিধায়কদের আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ জেলা কংগ্রেস। পাশাপাশি, নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সাবিত্রী মিত্র বলেন, “জেলার পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন ভবনের দ্বারোঘাটন হচ্ছে। ফলকে আমার নাম নেই। জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কমর্ধ্যক্ষ ও বিধায়কদের কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সরকারকে বদনাম করার জন্য কিছু আধিকারিক এ কাজ করছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জেলা পরিষদের এইও জয়দেব ঠাকুরকে মন্ত্রী একহাত নেন। ক্ষুব্ধ সাবিত্রী মিত্র অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হতে গেলে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁকে শান্ত করেন। পরে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন ভবনের দ্বারোঘাটন ফলকে মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের নাম লেখা হয়। সভাপধিপতি উজ্জল চৌধুরী বলেন, “দুটি অনুষ্ঠান জেলা পরিষদের অথচ দুটি অনুষ্ঠানের সভাধিপতিই ব্রাত্য। জেলা পরিষদের টাকায় পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে অথচ আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদ বলে আমাকে ও জেলা পরিষদের কমার্ধ্যক্ষদের ও কংগ্রেস বিধায়কদের আমন্ত্রণ করা হয়নি।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “আমরা ৩৪ বছর রাজ্য সরকারে ছিলাম। তখন যে কোন সরকারি অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হত। জনপ্রতিনিধি কোন দলের সেটা দেখা হত না। অথচ এখন জনপ্রতিনিধিদের রং দেখে সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এখন প্রশাসনের আমলাও রং দেখে জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। আমরা এর নিন্দা করছি। এর প্রতিবাদেই আজকে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিলাম।”
এ ব্যাপারে জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনার কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। ফোন করা হলে তিনি লাইন কেটে দেন। জেলা পরিষদের এইও জয়দেব ঠাকুর জানান, জেলার মন্ত্রীর নাম ফলকে দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। |
|
|
|
|
|