|
|
|
|
অবরোধে অবসরপ্রাপ্তেরা |
পুজোর আগে বকেয়া পেতে পথে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পুজোর আগে বকেয়া পেনশন মেটানোর দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এনবিএসটিসি) অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। সোমবার দুপুর নাগাদ এনবিএসটিসি পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মীরা শিলিগুড়ি, কোচবিহার ও রায়গঞ্জে ওই অবরোধ আন্দোলন করেন। শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে প্রধাননগর এলাতায় প্রায় ২০ মিনিট ধরে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। ফলে শহরে যানজট হয়। পুলিশ ওই ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়। |
|
সংগঠনের কোচবিহারের সম্পাদক মোহনবাঁশি বর্মন বলেন, “গত ১১ মাসের মধ্যে মাত্র সাড়ে চার মাসের পেনশন মিলেছে। সেটাও অনিয়মিত। নিগম কর্তৃপক্ষ থেকে রাজ্যপাল বিভিন্ন মহলে সমস্যার কথা জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পুজোর আগে বকেয়া মেটানোর দাবিতে অবরোধ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সি মুরুগণ বলেন, “বকেয়া পেনশনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পুজোর আগে ওই বরাদ্দ পাওয়া যাবে আশা করছি।” পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের নভেম্বর মাস থেকে এ বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত নিগমের আড়াই হাজারের বেশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মী গড়ে পঞ্চাশ শতাংশ টাকা পেনশন পেয়েছেন। অগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে সেটাও মেলেনি। এ দিন কোচবিহারের ব্যস্ততম রাস্তা সুনীতি রোড অবরোধ করেন সংগঠনের সদস্যরা। ওই অবরোধের ফলে কোচবিহার থেকে তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, মাথাভাঙা সহ বিভিন্ন রুটে স্বাভাবিক যানচলাচল ব্যাহত হয়। যানজটে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা। অবসরপ্রাপ্ত কর্মী খাগরাবাড়ির বাসিন্দা জয়প্রকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “নিয়মিত পেনশন না মেলায় ২৭ জন কর্মী ওষুধ কিনতে পারছেন না। অর্ধাহারে দিন কাটছে অনেকের।” |
|
ধীরেশ মিশ্র নামে অন্য এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, “৮২ বছর বয়স চলছে। পেনশন নিয়ে এমন সমস্যা আগে কখনও হয়নি।” কোচবিহার রেলঘুমটির বাসিন্দা মহববুর রহমান পুজোর আগে বকেয়া পেনশন মেটানর দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে এ দিন অবরোধে সামিল হন। তাঁর কথায়, “ইদে পেনশনের বকেয়া পাইনি। যন্ত্রণা বুঝি। তাই পুজোর আগে বকেয়া মেটানোর দাবি করছি।” সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত সংগঠনের ৩০০ জন সদস্য রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। যৌথমঞ্চের তরফে সিটু নেতা পরিতোষ দেবনাথ বলেন, পেনশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। অনেকে সংসার চালাতে ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অবিলম্বে বকেয়া পেনশন মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি নিয়মে পেনশন চালু করা না হলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিগমের বোর্ড ডিরেক্টর তিলক চৌধুরী বলেন, “রাজ্য সরকার অবসরপ্রাপ্তদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন।” |
|
|
|
|
|